……….জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান
গ্রাম আদালত সক্রিয়করণে সংশি¬ষ্ট সবাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। গ্রাম আদালতের মাধ্যমে এলাকার ছোট-খাট বিরোধ নিস্পত্তি না হলে উচ্চ আদালতে মামলার চাপ বৃদ্ধি পাবে।
এলাকার বিরোধ এলাকাতেই নিস্পত্তি করার জন্য সরকার আইন প্রণয়ন করে প্রতিটি ইউনিয়নে গ্রাম আদালত স্থাপন করেছে। এই আদালতের মাধ্যমে বিচারিক-সেবা মানুষের গোরদোরায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। এরই অংশ হিসেবে বর্তমানে সরকার ‘বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ প্রকল্প’ বাস্তবায়ন করছে। এখন আমাদের প্রয়োজন সবাইকে এগিয়ে আসা, সক্ষমতা অর্জন করা এবং এলাকার জনসাধারণকে সচেতন করা। সার্কিট হাউজে অনুষ্ঠিত গ্রাম আদালত বিষয়ক রিফ্রেশার্স প্রশিক্ষণে জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান গতকাল মঙ্গলবার সকালে কথাগুলো বলেন।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, বিষয়ভিত্তিক সক্ষমতা অর্জন করতে হলে প্রয়োজন সংশি¬ষ্ট বিষয়ে স্বচ্ছ ধারণা ও পর্যাপ্ত জানাশোনা। গ্রাম আদালত একটি আইনি আদালত। গ্রাম আদালত পরিচালনার মূল ভিত্তি হল ‘গ্রাম আদালত আইন ২০০৬ (সংশোধন ২০১৩) ও গ্রাম আদালত বিধিমালা ২০১৬। সরকার অনেক অর্থ ব্যায় করে আজকের এই প্রশিক্ষণ আয়োজন করেছে। এখান থেকে আমরা যদি গ্রাম আদালত পরিচালনার বিষয়ে একটা স্বচ্ছ ধারণা নিয়ে যাই তাহলে মাঠ পর্যায়ের কাজে আমাদের বেশি সমস্যা হবে না। মানুষ হিসেবে সমাজের প্রতি আমাদের অনেক দায়িত্ব। কিন্তু দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যাক্তি হিসেবে আমাদের কর্তব্যে আরো অনেক। আমাদের প্রতিটি কাজ জবাবদিহিতার মধ্যে থাকতে হবে।
প্রশিক্ষণে যারা বিভিন্ন সেশন পরিচালনা করেন তারা হলেন- চাঁদপুর স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ শওকত ওসমান, সহকারী পুলিশ সুপার মো. আহসান হাবীব, জেলা সমাজসেবা অফিসের উপ-পরিচালক রজত শুভ্র সরকার, জেলা যুব উন্নয়ন বিভাগের উপ-পরিচালক মো. সামসুজ্জামান, গ্রাম আদালতের ডিস্ট্রিক্ট ফ্যাসিলিটেটর (ডিএফ) নিকোলাস বিশ্বাস প্রমুখ।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মস‚চি’র (ইউএনডিপি) কারিগরি সহযোগীতায় স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত ২৫-২৬ জুন দুই দিনব্যাপী গ্রাম আদালত বিষয়ক প্রশিক্ষণে ফরিদগঞ্জ ও মতলব উত্তর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের মোট ৩১ জন সচিব ও গ্রাম আদালত সহকারী অংশগ্রহণ করেন। এতে সহযোগিতা করেন গ্রাম আদালত প্রকল্পের সহযোগী সংস্থা তথা ব¬াস্টের জেলা সমন্বয়কারী মো. আমিনুর রহমান, উপজেলা সমন্বয়কারী মো. এনামুল হক।
১৫ জুন হতে ধারাবাহিকভাবে জেলা পর্যায়ে গ্রাম আদালত বিষয়ক এই রিফ্রেশার্স প্রশিক্ষণ চলছে। জেলা পর্যায়ে মোট ৬টি ব্যাচের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হবে। এভাবে মোট ১৭৬ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। বর্তমানে ৫ম ব্যাচের প্রশিক্ষণ চলছে। শেষ ব্যাচের প্রশিক্ষণ শুরু হবে আগামি ২৯ জুনে। উল্লেখিত ৬টি ব্যাচে প্রকল্পধীন মোট ৪৪ ইউনিয়নের সকল ইউপি চেয়ারম্যান, একজন প্যানেল চেয়ারম্যান, সচিব ও গ্রাম আদালত সহকারীদের এই রিফ্রেশার্স প্রশিক্ষণে অন্তর্ভ‚ক্ত করা হয়েছে। ২০১৭ সালের মাঝামাঝিতে এই একই প্রশিক্ষণার্থীদের গ্রাম আদালত বিষয়ক মৌলিক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছিল।
স্টাফ রিপোর্টার
২৬ জুন ২০১৯