জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে
মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে চাঁদপুরের ৩১ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে হাজীগঞ্জে ৪ জন রয়েছেন। এই ৪ জনের মধ্যে প্রতিপক্ষের হামলায় হাজীগঞ্জে ১ জন এবং পুলিশের গুলিতে ঢাকায় ২ জন ও কুমিল্লায় ১ জন নিহত হয়েছেন।
নিহত ৪ জনের বিষয়টি শহীদ বা আহত হয়েছেন এমন ব্যক্তিদের নামের তালিকা চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য অধিদফতর, জেলা কমিটি ও গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেল এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়া আব্দুল মজিদ নামে এক তরুণ হাজীগঞ্জে নিহত হয়েছেন। তার বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলায়।
জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সময়ে গত ১৮ জুলাই পুলিশের গুলিতে রাজধানীর মধ্য বাড্ডা এলাকায় মৃত্যুবরণ করেন বেকারী শ্রমিক হাজীগঞ্জের মো. আব্দুল হান্নান (৩২)। তিনি হাজীগঞ্জ উপজেলার গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের মৈশামূড়া গ্রামের বড় বাড়ির আমিন মিয়ার ছেলে।
১৯ জুলাই হাজীগঞ্জের সদর ইউনিয়নের কাজিরগাঁও এলাকায় চাঁদপুর-লাকসাম রেলসড়কের পাশে পেট্রোল বোমা হামলায় গুরুতর আহত হন কাভ্যার্ড ভ্যানের হেলপার মো. আব্দুল মজিদ (২০)। পরে ২৫ জুলাই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলার রসূলপুর গ্রামের আমিন মিয়ার ছেলে।
গত ৪ আগস্ট হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন টোরাগড় গ্রামে সরকার দলীয় লোকজন আজাদ সরকারকে (৫৯) কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে এদিন রাতে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় কুমিল্লার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান। তিনি পৌরসভাধীন ৮নং ওয়ার্ড টোরাগড় গ্রামের সরকার বাড়ির মৃত আনু মিয়ার ছেলে।
৫ আগস্ট রাজধানীর যাত্রাবাড়িতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন হাজীগঞ্জের মো. রাসেল বকাউল (২১)। তিনি উপজেলার রাজারগাঁও ইউনিয়নের পূর্ব রাজারগাঁও গ্রামের বকাউল বাড়ির মো. নুরুল হকের ছেলে।
একই দিনে কুমিল্লায় আদালত পাড়ায় পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হন হাজীগঞ্জের অ্যাড. মো. আবুল কালাম আজাদ। পরে তিনি ১৫ আগস্ট ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তিনি উপজেলার হাজীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের পূর্ব কাজিরগাঁও গ্রামের বড় বাড়ির মৃত সৈয়দ আহম্মেদ ডিলারের ছেলে।
২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪।