চাঁদপুরের ৫ আসনে ৫১ প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ

এস এম সোহেল
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুরের ৫টি আসনে ৫১ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান। গতকাল রোববার ছিলো মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত পর্যাক্রমে চাঁদপুরের ৫টি আসনের ৫৯ প্রার্থীর কাগজপত্র পর্যালোচনা করে ৫১ জন প্রার্থীর কাগজ-পত্র ঠিক থাকায় বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়। বাকি ৮ জন প্রার্থীর মনোনয়ন পত্রে অসম্পূর্ণ কাগজ-পত্র হওয়ায় তাদের মনোনয়ন পত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে চাঁদপুর-১ (কচুয়া) আসনে ১ জন, চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর-দক্ষিণ) আসনে ১ জন, চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনে ৪ জন ও চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনে ২ জন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মো. জিহাদুল কবির পিপিএম, চাঁদপুর স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ শওকত ওসমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. মঈনুল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. জাহেদ পারভেজ চৌধুরী ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিনসহ ৫টি আসনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা।
নির্বাচনে বৈধ প্রার্থীরা হলেন- চাঁদপুর-১ (কচুয়া) আসনে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর (আওয়ামী লীগ), এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান মো. গোলাম হোসেন (আওয়ামী লীগ), সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহসানুল হক মিলন (বিএনপি), কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সদস্য নাজমুন্নাহার বেবী (বিএনপি), কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য মোশারফ হোসেন (বিএনপি), এমদাদুল হক রুমন (জাতীয় পার্টি), নূরুল আলম মজুমদার (ইসলামী ফ্রন্ট), মো. জোবায়ের আহমেদ (ইসলামী আন্দোলন), অধ্যাপক এ কে এস এম শহীদুল ইসলাম (স্বতন্ত্র) ও আজাদ হোসেন (গণফোরাম)।
চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর-দক্ষিণ) আসনে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম (আওয়ামী লীগ), নূরুল আমিন রুহুল (আওয়ামী লীগ), ড. জালাল উদ্দিন (বিএনপি), তানভীর হুদা (বিএনপি), এমরান হোসেন মিয়া (জাতীয় পার্টি), আফসার উদ্দিন (ইসলামী আন্দোলন), মো. মনির হোসেন চৌধুরী (ইসলামী ঐক্যজোট) ও নুরুল আমিন লিটন (মুসলিম লীগ)।
চাঁদপুর-৩ (সদর-হাইমচর) আসনে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি (আওয়ামী লীগ), শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক (বিএনপি), রাশেদা বেগম হীরা (বিএনপি), এসএমএম আলম (জাতীয় পার্টি জেপি), অ্যাড. ফজলুল হক সরকার (নাগরিক ঐক্য), অ্যাড. সেলিম আকবর (গণফোরাম), দেওয়ান কামরুন্নেসা (জাকের পার্টি), মো. জয়নাল আবেদীন শেখ (ইসলামী আন্দোলন), মো. আজিজুর রহমান (বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি), আবু জাফর মো. মাইনুদ্দিন (ইসলামী ফ্রন্ট), শাহজাহান তালুকদার (বাসদ) ও মো. মিজানুর রহমান (তরিকত ফেডারেশন)।
চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনে ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া (আওয়ামী লীগ), সাংবাদিক মুহম্মদ শফিকুর রহমান (আওয়ামী লীগ), আলহাজ এম এ হান্নান (বিএনপি), কাজী রফিকুল ইসলাম (বিএনপি), মুকবুল হোসেন (ইসলামী আন্দোলন), ড. মোহাম্মদ শাহজাহান (গণফোরাম), জাহিদুল ইসলাম রোমান (স্বতন্ত্র), দেলোয়ার হোসেন পাটওয়ারী (ন্যাপ), বাচ্চু মিয়া ভাষানী (জাকের পার্টি), গোলাম মাহমুদ ভূঁইয়া মানিক (ইসলামী ফ্রন্ট), মাইনুল ইসলাম (জাতীয় পাটি), আনিসুজ্জামান ভূইঁয়া (বাসদ) ও মাহবুবুর রহমান ভূইঁয়া (মুসলিম লীগ)।
চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনে মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম (আওয়ামী লীগ), এম এ মতিন (বিএনপি), ইঞ্জি. মমিনুল হক (বিএনপি), সৈয়দ বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদী (ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ), আবু সুফিয়ান আল কাদেরী (ইসলামী ফ্রন্ট), মনির হোসেন মজুমদার (জাসদ ইনু), শাহাদাত হোসেন প্রধানিয়া (ইসলামী আন্দোলন) ও ওবায়েদ মোল্লা (জাকের পার্টি)।