স্টাফ রিপোর্টার
চাঁদপুরের কণ্ঠশিল্পী, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা ও চতুরঙ্গ সাংস্কৃতিক সংগঠনের মহাসচিব হারুন আল রশীদের সহধর্মিণী তাহমিনা হারুন ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহে…..রাজেউন)। তিনি গত সোমবার দিবাগত রাত ৩টা ১০ মিনিটে মধ্য ইচলীস্থ নিজ বাড়িতে শেষ নিঃশ^াস ত্যাগ করেন।
তাহমিনা হারুন দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস, কিডনি ও চোখের সমস্যার রোগে ভুগছিলেন। তার বয়স হয়েছিল ৫৫ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, ২ ছেলে ও নাতিসহ বহু শুভাকাক্সক্ষী রেখে গেছেন।
মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) বাদ জোহর মরহুমা তাহমিনা হারুনের জানাজা মধ্য ইচলী নুরে বেপারী জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। জানাযায় ইমামতি করেন মরহুমা তাহমিনা হারুনের বড় ভাই মাও. আবু জাফর মো. মাইনুদ্দিন। পরে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
উল্লেখ্য, মরহুমা তাহমিনা হারুনের অকাল মৃত্যুতে চাঁদপুরের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তিনি ১৯৭৮-৭৯ সালে সংগীত নিকেতনে গানের তালিম নেন। ১৯৭৯-৮৪ সাল পর্যন্ত তিনি কঁচি-কাচার মেলা ও ৮৪-৮৫ সালে বনানী খেলাঘর আসরের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। তাহমিনা হারুন কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় গোল্ড ম্যাডেল অর্জন করেন। জাতীয় পর্যায়ে দেশাত্মবোধক সংগীতে জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেন। তাহমিনা হারুন মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনভুক্ত অনন্যা নাট্যগোষ্ঠী ও চতুরঙ্গ সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন।
তাহমিনা হারুনের কফিনে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, চাঁদপুর থিয়েটার ফোরাম, চাঁদপুর সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্র, চতুরঙ্গ সাংস্কৃতিক সংগঠন ও জীবনদ্বিপ।
তাহমিনা হারুনের মৃত্যুর খবর শুনকে পেয়ে তাকে শেষবারের মতো দেখতে ছুটে যান সাংস্কৃতিক সংগঠক অজয় ভৌমিক, শহীদ পাটোয়ারী, লিটন ভূঁইয়া, শরীফ চৌধুরী, কৃষ্ণা সাহা, অজিত সাহা, অ্যাড. বদিউজ্জামান কিরন, তপন সরকার, রুমা সরকার, গোবিন্দ মন্ডল, অ্যাড. বিনয় ভূষণ মজুমদারসহ আরো অনেকে।
২১ এপ্রিল, ২০২১।