চাঁদপুরে জোয়ারের পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

মেঘনার পানি বিপদসীমার উপরে

স্টাফ রিপোর্টার
চাঁদপুর জেলার চরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চল জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। অমাবস্যার কারণে মেঘনার পানি সময় বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে জেলা সদর, হাইমচর ও মতলবের চরাঞ্চলসহ নদী উপকূলীয় অঞ্চলের নিচু এলাকা এবং গ্রামের রাস্তা-ঘাট, মাছের খামার, পানের বোরজ ও বোনা আমনসহ ফসলি জমি পানিতে ডুবে গেছে। তবে জোয়ারে পানি কয়েক ঘণ্টা স্থায়ী হলেও পরবর্তীতে ভাটায় কিছুটা কমে যায়। এছাড়া চাঁদপুর শহরের কয়েকটি স্থানের নিম্নাঞ্চলও নদীর পানি বৃদ্ধিতে তলিয়ে গেছে। বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) সংশ্লিষ্ট এলাকায় খোঁজ-খবর নিয়ে এসব তথ্য জানা গেছে।
এছাড়া জোয়ারের পানি বেড়ে যাওয়ায় চাঁদপুরের হরিণা ও শরীয়তপুরের আলুবাজার ফেরিঘাটের র‌্যাম ও রাস্তা ডুবে গেছে। এতে ওই ঘাট দু’টি দিয়ে গত দুইদিন যানবাহন ফেরিতে উঠা-নামায় সমস্যা হচ্ছে। যার ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যানবাহন নিয়ে চালক ও যাত্রীরা।
হরিণা ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, হাঁটু পরিমাণ পানি ডিঙ্গিয়ে চরম দুর্ভোগের মধ্যে গাড়িগুলোকে ফেরিতে উঠানামা করতে হচ্ছে ঝুঁকির মধ্য দিয়ে। এ পরিস্থিতিতে যেকোনো মুহূর্তে যানবাহন বিকল হয়ে ফেরি পারাপার বন্ধ হবার আশঙ্কা দেখা দেওয়ার পরিস্থিতি বিরাজমান অবস্থায় রয়েছে। বিষয়টি বিআইডব্লিউটিএসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দেখা দরকার বলে ভুক্তভোগীরা জানান।
বিআইডব্লিউটিসি’র চাঁদপুর হরিণাঘাট ম্যানেজার (বাণিজ্য) আব্দুন নূর তুষার বলেন, জোয়ারের সময় মেঘনার পানি বৃদ্ধি পেলে এ ধরনের কিছু সময়ের জন্য সমস্যা দেখা দেয় প্রতিনিয়ত। তবে সবসময়ের জন্য নয়। তিনি বলেন, এখনো ঘাটে যানবাহনের চাপ বেশি রয়েছে। চাঁদপুর-শরীয়তপুর নৌ-রুটে তাদের ৭টি ফেরি চলাচল অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে, হাইমচরে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় বেড়ি বাঁধের বাইরের মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। অনেক স্থানে পাকা রাস্তার উপর দিয়ে জোয়ারের পানি প্রবাহিত হচ্ছে এবং সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড়-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে আছে। নীলকমল ও গাজীপুর ইউনিয়নের চরের বেশ কয়েকটি এলাকার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. মোশারফ হোসেন জানান, গতকাল বুধবার সন্ধ্যার জোয়ারে মেঘনার পানি বিপদসীমার ৫২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। মেঘনায় জোয়ারের পানি সর্বোচ্চ ৪.৫২ সে.মি. ও ভাটায় সর্বনিম্ন ৩.৩১ সে.মি. রেকর্ড করা হয়েছে। এতে চাঁদপুর সেচ প্রকল্প বাঁধের বাইরের নিচু এলাকা এবং চরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়ে ডুবে আছে।
০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১।