স্টাফ রিপোর্টার
চাঁদপুরের মেঘনায় আটকের পর বিপুল জাল ছেড়ে দেয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার চাঁদপুর বড়স্টেশন মোলহেড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও মৎস্য বিভাগ সূত্র জানায়, সকাল ১১টার দিকে চাঁদপুরের এডিএম, মৎস্য অফিস, কোস্টগার্ড ও নৌপুলিশ সদস্যরা নদীতে অভিযানে নামেন। অভিযানকালে সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর এলাকায় পদ্মা-মেঘনা নদী থেকে ৪টি কোণা জাল, জেলেসহ নৌকা এবং জাটকাসহ ৬টি কারেন্ট জাল আটক বড়স্টেশন মোলডেহ এলাকায় নিয়ে আসা হয়। নিয়ম মোতাবেক আটক প্রায় ৪০ হাজার মিটার জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করার আগ মুহূর্তে কয়েকজন জেলে প্রতিনিধি এবং আড়তদার এসে জালগুলো বৈধ দাবি করে তা ফিরিয়ে দিতে বলে। এ সময় অভিযানে থাকা সদস্যদের সাথে তাদের বাকবিতন্ডা হয়। পরে চাঁদপুরের এডিএম আব্দুল্লা আল মাহমুদ জামানের নির্দেশে প্রায় ৫ হাজার মিটার জাল রেখে বাকিগুলো ছেড়ে দেয়া হয়। এ সময় আটক জাল ফেরত না দেয়ার জন্য অনুরোধ জানান মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তা। কিন্তু তাতে সাড়া দেননি এডিএম। পরে ২ লাখ মিটার জব্দকৃত জালের মধ্যে কিছু জাল পুড়িয়ে ফেলা এবং কিছু জাল ছেড়ে দেয়ার কারণে উপস্থিত মৎস্য কর্মকর্তারা অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা ফিরোজ আহমেদ মৃধা জানান, সুতোর জালগুলো না ছাড়ার জন্যে তিনি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু তিনি সেগুলো ছেড়ে নির্দেশ দিয়ে চলে যান। অথচ জব্দকৃত জালগুলোতে প্রচুর জাটকা ছিলো। তিনি বলেন, এ সময় আমার সাথে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য ভাষায় ব্যবহার করা হয়।
চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান বলেন, যেসব জাল সাড়ে চার সেন্টিমিটারের বেশি সেগুলো বৈধ জাল, তাই ছেড়ে দেয়া হয়েছে। কারণ, অকারণে এসব জাল পুড়িয়ে দিলে সাধারণ জেলেরা ক্ষতিগ্রস্ত হতো। এগুলো ছাড়াও আরো বিপুল পরিমাণ অবৈধ জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়া অভিযানে ৩টি নৌকার মালিককে ৫ হাজার টাকা করে মোট ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
- Home
- প্রথম পাতা
- চাঁদপুরে নদী আটকের পর ছেড়ে দেয়া হলো বিপুল পরিমাণ জাল