স্টাফ রিপোর্টার
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ চাঁদপুরের আওতাধীন প্রিপেইড মিটারের ব্যাটারি নিয়ে গ্রাহকেদর দুর্ভোগের শেষ নেই। অনেকেই মিটারের ফ্রি ব্যাটারি পরিবর্তন করতে অসাধু কিছু কর্মচারীদের জন্য হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
অথচ খুব সহজেই প্রি-পেইড মিটারের ব্যাটারি পরিবর্তন করা যায় এবং নতুন করে তা সংযোজন করতে কোন ফি কিংবা অর্থ পরিশোধের প্রয়োজন হয় না বলে জানিয়েছেন চাঁদপুর বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের (বিউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান।
হঠাৎ করে বিদ্যুৎ চলে যায়। গ্রাহক মনে করছেন মিটারের টাকা শেষ হয়ে গেছে। যখন মিটার চালু হচ্ছে না, তখনই গ্রাহকরা বুঝতে পারেন মিটারের ব্যাটারি শেষ হয়ে গেছে। তখন কিছু না বুঝেই তাড়াহুড়ো করে বিদ্যুৎ অফিসে ফোন করে স্টাফদের আসতে বলেন। তখন টাকার বিনিময়ে ওই গ্রাহকদের ব্যাটারি পরিবর্তন করে দেন তারা। সম্প্রতি চাঁদপুর শহরে প্রি-পেইড মিটারের ব্যাটারি পরিবর্তন করতে এমন ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে গ্রাহকদের।
অথচ প্রি-পেইড মিটারের ব্যাটারি শেষ হওয়ার সাথে সাথে সরাসরি বিদ্যুৎ অফিসে এসে আবেদন করলেই কোন প্রকার অর্থ ছাড়া নতুন ব্যাটরি পাবেন গ্রাহকরা।
চাঁদপুর শহরের নাজিরপাড়া এলাকার বাসিন্দা ইদ্রিস জানান, প্রি-পেইড মিটারের ব্যাটারি শেষ হয়ে গেলে চাঁদপুর বিদ্যুৎ অফিসে ফোন করি। তখন সেখান থেকে লোক আসলে নতুন ব্যাটরি লাগানোর কথা বলে। মিটারের ব্যাটারি ও আনুসাঙ্গিক খরচের জন্য আমার কাছ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা নিয়েছে। আগে নিয়ম-কানুন জানালে এমন হতো না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চাঁদপুর বিদ্যুৎ অফিসের স্টাফরা বলেন, গ্রাহক সরকারি এসে আবেদন করলে কোন টাকা লাগে না। এখান থেকে যদি কোন স্টাফ গ্রাহকদের বাড়ি যায়, তাহলে কিছু খরচ গ্রাহকদের বহন করতে হয়। গ্রাহকের আবেদন করা, মিটার চালু করা পর্যন্ত আমরা দায়িত্ব নিয়ে থাকি। সেজন্য গ্রাহকদের কাছ থকে কিছু খরচ নেই।
চাঁদপুর বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান বলেন, চাঁদপুরে প্রায় ৬৫ হাজার গ্রাহক রয়েছে। এর মধ্যে প্রি-পেইড মিটার ব্যবহারকারী গ্রাহকরা মিটারের ব্যাটারি নিয়ে আমাদের কাছে অভিযোগ করে থাকেন। আমাদের একটাই কথা প্রি-পেইড মিটারের ব্যাটারি পরিবর্তনের জন্য কোন ফি কিংবা অর্থ পরিশোধ করতে হয় না। ব্যাটারি পরিবর্তনের প্রয়োজনে গ্রাহকরা কারো শরণাপন্ন হবেন না। সরাসরি অফিসে এসে যোগাযোগ করবেন। এখানে আবেদন করলেই আপনি ফি ছাড়া প্রি-পেইড মিটারের ব্যাটারি পাবেন।
৪ অক্টোবর, ২০২১।