চাঁদপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে তরমুজ ব্যবসায়ীদের জরিমানা

চাঁদপুর শহরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সামিউল ইসলাম।

কেজি দরে তরমুজ বিক্রি

শাহ্ আলম খান
চাঁদপুর শহরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ৩ তরমুজ বিক্রেতাকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তরমুজের দাম কেজি হিসেবে বিক্রি করায় তাদের ঐ জরিমানা করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে শহরের বিভিন্ন স্থানে জেলা প্রশাসক বেগম অঞ্জনা খান মজলিশের নির্দেশে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সামিউল ইসলাম।
কৃষি বিপণন আইন ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে তরমুজ বিক্রেতাদের জরিমানা করা হয়। অভিযানে চৌধুরীঘাট এলাকায় তরমুজ ব্যবসায়ী আলী সিকদার ও বিসমিল্লাহ ট্রেডার্স এবং স্টেডিয়াম রোড এলাকার আজওয়া স্টোরকে ৫ হাজার টাকা করে ১৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
চাঁদপুর জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, শহরের ১০নং ঘাট এলাকার তরমুজের আড়তে ও মিশন রোড এলাকার খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে তরমুজ ক্রয়-বিক্রয়ের ভাউচার দেখতে চাইলে তারা ভাউচার দেখাতে ব্যর্থ হন। যাচাইকালে তাদের ক্রয়কৃত দামের সাথে বিক্রয়কৃত দামের ব্যবধান অনেক বেশি হওয়ায় তিন তরমুজ ব্যবসায়ীর প্রত্যেকে ৫ হাজার করে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। নির্ধারিত দামের বেশি দামে তরমুজ বিক্রয় না করার জন্য তাদের কঠোরভাবে সতর্ক করা হয়। এসময় তরমুজের মূল্যসহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে ব্যবসায়ীদের সচেতন করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের পর বেলা সাড়ে ৩টার দিকে নতুন বাজারে দেখা যায়, তরমুজ কেজি দরে না বিক্রি করে পিস হিসাবে বিক্রি করা হচ্ছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের আগে ৭০ টাকা কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করা হচ্ছিল। এতে বড় তরমুজের দাম ৫৫০ থেকে ৬৭০টাকা করে পড়েছে। এখন প্রতি পিস হিসাবে বড় আকারের তরমুজের দাম পড়ছে ২৮০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা করে।
এ সময় নতুন বাজারের কয়েকজন তরমুজ ব্যবসায়ী বলেন, এ বছর তরমুজের পাইকারি দাম অন্যান্য বছরের চেয়ে বেশি হওয়ায় খুচরা বাজারে বেশি বিক্রি করতে হচ্ছে। এছাড়া চাঁদপুরের বাজারে বিক্রি হওয়া তরমুজ আসছে খুলনা থেকে। লকডাউনের কারণে পরিবহন খরচ পড়ছে অনেক বেশি। এ কারণে কিছুটা বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে।

২৯ এপ্রিল, ২০২১।