চাঁদপুরে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার শুভ সূচনা

বিজয় মেলায় প্রতিটি ক্ষেত্রে জাতির জনককে প্রাণবন্তভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে
——————— জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান
স্টাফ রিপোর্টার
‘এসো মিলি মুক্তির মোহনায়’ এ শ্লে¬াগানকে সামনে রেখে প্রতি বছরের মতো এ বছরও চাঁদপুর সরকারি হাসান আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় মেলা মঞ্চে ‘জয় বাংলা’ গানের সাথে স্বাধীনতার ৪৭বছর উপলক্ষে ৪৭টি মোম প্রজ্জলনের মাধ্যমে শুভ সূচনা করা হয়েছে ঐতিহ্যবাহী মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা। মেলা মঞ্চে মুক্তিযোদ্ধা, জেলা প্রশাসন, সাংস্কৃতিক কর্মী ও সাংবাদিকরা একত্রিতভাবে মোমবাতি প্রজ্জলন করেন। পরে ‘বিজয়’ এর উন্মোচন, আলোচনা সভা ও স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের স্টল পরিদর্শন করেন অতিথিরা।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় বিজয় মেলা মঞ্চে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান পিএএ। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, বিজয় মেলায় মঞ্চ ও মাঠকে চমৎকারভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে জাতির জনকে প্রাণবন্তভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। যা আমি দেখে অভিভূত এবং আমার দেখা এটা সবচেয়ে সুন্দর বিজয় মেলা। চাঁদপুরের মানুষ অনেক ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেয়। তা আপনাদের সবার’ই জানা। আমরা সব সময় আপনাদের সাথে থাকবো। সব ভাল কাজে আপনারা আমাকে পাবেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার মো. জিহাদুল কবির পিপিএম বলেন, আমি গর্বিত একজন পুলিশ সদস্য হিসেবে। কারণ পুলিশ বাহিনী’ই প্রথম মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো। বিজয় উৎসবের কোন কমতি হবে না, অন্য বছরগুলোতে যেভাবে হয়েছে সেভাবে হবে। পাবনা ও রাজবাড়ীতে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী পুলিশ সদস্যদের স্মৃতিচারণমূলক বই প্রকাশ করেছি।
বিজয় মেলার স্টিয়ারিং কমিটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা এম এ ওয়াদুদের সভাপতিত্বে এবং বিজয় মেলা উদযাপন পরিষদের মহাসচিব হারুন আল রশীদের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন বিজয় মেলার সম্মানিত উপদেষ্টা মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল।
এসময় উপস্থিত ছিলেন স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ডা. সৈয়দা বদরুন নাহার চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা সাহাবউদ্দিন মজুমদার, বিজয় মেলার চেয়াম্যান মুক্তিযোদ্ধা মহসিন পাঠান, স্টিয়ারিং কমিটির সহ-সভাপতি অ্যাড. বিণয় ভূষন মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. বদিউজ্জামান কিরন, ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা অজিত সাহা, কাজী শাহাদাত, সাংস্কৃতিক পরিষদের আহ্বায়ক তপন সরকার, যুগ্ম-আহ্বায়ক কৃষ্ণা সাহা, তাহমিনা হারুন, রুমা সরকার, মাঠ ও মঞ্চ পরিষদের আহ্বায়ক ইয়াহিয়া কিরন, যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাড. অমির উদ্দিন মন্টু, মানিক দাস, মিডিয়া পরিষদের সদস্য সচিব কে এম মাসুদ, স্মৃতি সংরক্ষণ ৭১ পরিষদের সদস্য সচিব অভিজিত রায়, অভ্যর্থনা পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক সুফী খায়রুল আলম খোকন, সদস্য সচিব ইসমত আরা সাফী বন্যা, সাহিত্য ও প্রকাশনা পরিষদের আহ্বায়ক ডা. পীযূষ কান্তি বড়ুয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক ব্যাংকার শামীম খান, সদস্য সচিব রাজন চন্দসহ বিভিন্ন পরিষদের আহ্বায়ক, যুগ্ম আহ্বায়ক ও সমন্বয়কারীরা।