চাঁদপুরে লিজকৃত পুকুরে জোর করে মাছ শিকারের চেষ্টা

থানায় অভিযোগ ও সাধারণ ডায়রি

স্টাফ রিপোর্টার
চাঁদপুর শহরের ক্লাব রোড সংলগ্ন সরকারি লিজকৃত একটি পুকুরে দুর্বৃত্তরা জোরপূর্বক মাছ শিকারের চেষ্টা করা অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করলে হামলার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী লিজগ্রহীতা মো. শাহনুর বেপারী। পরে সদর মডেল থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে মাছ শিকার বন্ধ হয়।
জানা যায়, পুকুরটি চাঁদপুর রেলওয়ের মালিকানাধীন, যা নিয়ম অনুযায়ী মো. শাহনুর বেপারীকে লিজ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি ক্লাব রোডের রহিম গাজী, মোস্তফা, কবির ও হজরত আলীসহ বেশ ক’জন জোর করে পুকুর থেকে মাছ শিকার করার চেষ্টা করে। লিজগ্রহীতা মো. শাহনুর বেপারী তাদের বাঁধা দিলে তারা উত্তেজিত হয়ে হামলার হুমকি দেয়। পরে গত ২২ ডিসেম্বর চাঁদপুর সদর মডেল থানায় চাঁদপুর মডেল থানায় ৭নং ওয়ার্ডের ক্লাব রোড এলাকার রহিম গাজীসহ অজ্ঞাতনামা ২৩ জনকে বিবাদী করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মডেল থানার এসআই আওলাদ হোসেন সরোজমিনে তদন্তে যান। এরপর আবারও ২৫ ডিসেম্বর রাতে অভিযুক্ত রহিম গাজীসহ দুর্বৃত্তরা আবারো জোর করে মাছ শিকার করার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে ডিউটরত মডেল থানার এসআই শাহজাহান ঘটনাস্থলে গিয়ে বাঁধা প্রদান করে। তাতেও রহিম গাজী লোকজন ক্ষান্ত হননি। পরে আনুমানিক রাত ২টার সময় মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. বাহার মিয়া ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিবেশ শান্ত করেন। এ ঘটনায় ২৫ ডিসেম্বর ভুক্তভোগী লিজগ্রহীতা মো. শাহনুর বেপারী চাঁদপুর মডেল থানায় আরেকটি সাধারণ ডায়রি করেন। অভিযোগ ও সাধারণ ডায়রিতে তিনি পুকুরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ ঘটনায় প্রশাসনিকভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে যে কোন মুহূর্তে বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর রেলওয়ে ক্লাব রোড সংলগ্ন এলাকায় সরকারি দিঘী লিজ নিয় দীর্ঘদিন ধরে মাছ চাষ করে আসছে মো. শাহনুর বেপারী। ঐ দিঘী দেখাশুনা করেন দেলা বেপারী। এতে বিবাদী রহিম গাজীর কোন পাওনা বা সংশ্লিষ্টতা নেই। রহিম গাজী দিঘীটি জোরপূর্বক দখল করে নেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে পাঁয়তারা করে আসছেন। আগেও দিঘীর সাইনবোর্ড উপরে ফেলে দেয় তারা। গত ২২ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় রহিম গাজী লোকজন নিয়ে শাহানূর বেপারীর লিজকৃত দিঘীতে জোরপূর্বক মাছ ধরে নেওয়ার চেষ্টা করলে শাহানূর বেপারী বিবাদীদের বাঁধা দেয়। এতে রহিম গাজী ক্ষিপ্ত হয়ে শাহানূর বেপারীকে অকথ্য ভাষায় গালাগিলি করে ক্ষিপ্ত হয়ে মারধর করার জন্য এগিয়ে যায়। পরে শাহানূর বেপারীর ডাক-চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তারা চলে যায়। যাওয়ার সময় রহিম গাজী শাহানূর বেপারীর লিজকৃত দিঘী জোর করে দখল করবে এবং কেউ বাঁধা দিলে খুন করে লাশ গুম করে ফেলার প্রকাশ্যে বিভিন্ন হুমকী-ধমকী প্রদান করে।
চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. বাহার মিয়া জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪।