চাঁদপুরে সরকারি মহিলা কলেজে পয়লা ফালগুন উদ্যাপন

মানিক দাস
ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন। শীতের শেষে ঋতুচক্রের এই মাস বাঙালির জীবনে প্রকৃতির রূপ বদলে যায়। গতকাল বুধবার চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজে প্রতি বছরের মতো এ বছরেও পহেলা ফাল্গুন ঋতুরাজ বসন্ত উদ্যাপিত হয়েছে। কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর কায়সার আহমেদ ও উপাধ্যক্ষ মো. মাসুদুর রহমানের নেতৃত্বে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের সাথে আনন্দে মেতে উঠেছিলেন। চাঁদপুরে শুধুমাত্র সরকারি মহিলা কলেজেই ঋতুরাজ বসন্ত উদ্যাপন করা হয়।
চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর কায়সার আহমেদ বলেন, গাছে গাছে ফুল ফুটবার এই দিনটিকে চিরাচরিতভাবে পহেলা ফাল্গুন হিসেবে বাংলা সনের গণনা শুরু হয়। ঝরে পরা শুকনা পাতার মর্মর ধ্বনির দিন শেষ হয়ে আসে। কচি পাতায় আলোর নাচনের মতই বাঙালির মনেও দোলা লাগায়। একই সাথে বাসন্তি রঙ এর শাড়ি ও পাঞ্জাবি গায়ে জড়িয়ে আনন্দে মেতে ওঠার আবাহন বাংলার তরুণ-তরুণীরা। চাঁদপুরের বিভিন্ন স্থানে নর-নারীর বাসন্তী সাজ মনে করিয়ে দিবে-ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক, আজ বসন্ত। বাসন্তী শাড়ি পরে খোঁপায় গাদা ফুল গুঁজে নারীরা হাজির হয়েছে বসন্ত বরণ উৎসব উদযাপন করতে।
তিনি আরো বলেন, শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলেই চলবে না। তাদেরকে বাঙালি কৃষ্টি সংষ্কৃতির সাথে সম্পৃক্ত রাখতে হবে। তাই বিগত বছরের মতো এ বছরও চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজ বাৎসরিক এসব দিবস পালনকল্পে আজকে শিক্ষার্থীদের নিয়ে বসন্ত উৎসব করা হচ্ছে।
শীতে খোলসে ঢুকে থাকা বনবনানী অলৌকিক স্পর্শে জেগে উঠে। পলাশ, শিমুল গাছে লাগে আগুন রঙের খেলা। প্রকৃতিতে চলে মধুর বসন্তে সাজ সাজ রব। বসন্ত মানেই পূর্ণতা। বসন্ত মানেই নতুন প্রাণের কলরব। মিলনের এ ঋতু বাসন্তী রঙে সাজায় মনকে, মানুষকে করে আনমনা। ওই দিন সকাল থেকেই মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরা বসন্তের রঙে নিজেদেরকে রাঙিয়ে তুলতে বাহারী রঙের শাড়ি ও ফুলের মালায় নিজেদের অঙ্গকে সাবলীলভাবে ফুটিয়ে তোলে।
কলেজ ক্যাম্পাসে দিনব্যাপী বসন্ত উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। বসন্ত উৎসব উপলক্ষে শিক্ষাথীদের কবিতা আবৃত্তি, গান, নৃত্য এমনকি বসন্তের সাজে বাঙালি তরুণীদের ফ্যাশন শো এ বছর অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ সময় আর উপস্থিত ছিলেন বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম, তাহমিনা ফেরদৌস, প্রভাষক মাসুমা তুন নূর, নাসরিন সুলতানা শারমিন, ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. মোতাসিম বিল্লাহ, আবজম খানম, প্রভাষক মো. জহিরুল ইসলাম, মো. সাইদুল ইসলাম, অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মহিউদ্দিন, প্রভাষক নুরুননাহার, মো. গোলাম রিদওয়ান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সেলিনা আহমেদ, প্রভাষক মো. ফেরদাউস আমিন, ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. এনামুল হক, প্রভাষক মো. ওমর ফারুক, সোহেল রানা, সমাজকর্ম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. ফয়জুর রহমান, প্রভাষক আল-আমিন, উৎপল চন্দ্র দাস, দর্শন বিভাগের প্রভাষক মো. ওমর ফারুক, ভূগোল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. মাসুদ হোসেন, প্রভাষক জান্নাতুল ফেরদৌস, পদার্থবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জীবন কানাই সাহা, প্রভাষক মোহাম্মদ ওমর ফারুক, রসায়ন বিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আফসার আলী শিকদার, মো. ইলিয়াছ হোসেন, গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবুল কালাম মোহাম্মদ রিয়াজউদ্দিন, প্রভাষক মো. মাহফুজুর রহমান, উদ্ভিদ বিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. ইকবাল হোসেন খান, প্রাণী বিদ্যা বিভাগের প্রভাষক সঞ্জয় কুমার সাহা, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আব্দুল মান্নান মিয়া, ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক পেয়ার আহমেদ প্রমুখ।