ট্রাফিক পুলিশের এক সপ্তাহের অভিযান
এস এম সোহেল
পবিত্র মাহে রমজান এবং ঈদুল ফিতরে যানজট নিরসনে প্রতিনিয়ত অবৈধ মোটরযানের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছে চাঁদপুর জেলা ট্রাফিক পুলিশ। অবৈধ মোটরযানের বিরুদ্ধে জেলা ও বিভিন্ন উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে চেকপোস্ট বসিয়ে ট্রাফিক আইন না মেনে যানবাহন চলানোর দায়ে ৪শ’ ৩১টি মামলা দায়ের করা হয়। গত ১২ মে থেকে ১৯ মে পর্যন্ত এক সপ্তাহের এই অভিযানের অবৈধ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকা মোটরযানের উপর জেলায় ৪শ’ ৩১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মো. জিহাদুল কবিরের নির্দেশে ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে এসব অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন স্ব-স্ব উপজেলার ট্রাফিক ইন্সপেক্টররা। তেমনি চাঁদপুর শহরসহ সদর উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করেন ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (প্রশাসন) মো. ফয়সাল আহম্মেদ ভূঁইয়া।
গতকাল সোমবার বেলা ২টায় চাঁদপুর শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে অবৈধ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকা মোটরযানের উপর বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয়। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. জাহেদ পারভেজ চৌধুরী এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, ১২ থেকে ১৯ মে পর্যন্ত এক সপ্তাহের এই অভিযানের অবৈধ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকা মোটরযানের উপর জেলায় ৪শ’ ৩১টি মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে ৫৫টি মোটর সাইকেল, ২০টি ইজি বাইক ও ৩২টি সিএনজি আটক করা হয়। এছাড়া আরো ২৬৪টি যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, ৪শ’ ৩১টি মামলার মধ্যে চাঁদপুর সদর ট্রাফিক পুলিশের ১শ’ ৭৩টি মামলা, সদর মডেল থানার ৪৭টি মামলা, হাজীগঞ্জে ট্রাফিক পুলিশের ১শ’ ৭টি মামলা, মতলব ট্রাফিক পুলিশের ১৩টি মামলা ও হাইমচর ট্রাফিক পুলিশ ১৪টি মামলা দায়ের করে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহেদ পারভেজ চৌধুরী আরো বলেন, মাহে রমজান এবং ঈদকে সামনে রেখে মানুুষের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিতকরণে এবং যানজট নিরসনে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সাধারণ মানুষের চলাচল নিরাপদ করতে সবাই যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে এসে ট্রাফিক পুলিশে সহযোগিতার করার আহ্বান জানান তিনি।
চাঁদপুর সদর ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (প্রশাসন) মো. ফয়সাল আহম্মেদ ভূঁইয়া বলেন, যানবাহনের কাগজপত্র, চালকের লাইসেন্স, অবৈধ অটোরিকশা, মোটর সাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনের উপর আমাদের চলমান অভিযান অব্যাহত রয়েছে। কোনো অবস্থাতেই শহরে অবৈধ যানবাহন চলতে দেয়া হবে না। তাছাড়া এবার ঈদকে সামনে শহরে দু’টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চলতি অভিযানে এক সপ্তাহে মোটরযানের বিরুদ্ধে প্রায় ২শ’ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
