সবাই মিলে সুন্দর একটি চাঁদপুর বিনির্মাণ করবো
………… শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক
স্টাফ রিপোর্টার
‘কোন সংখ্যালঘু সংখ্যাগুরুতে বিশ্বাস করি না, আমরা সবাই বাংলাদেশী’ এ স্লোগান ধারণ করেন আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী নেতৃবৃন্দের সাথে চাঁদপুর জেলা বিএনপির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে শহরের মুনিরা ভবনে সভায় সভাপতিত্ব করেন চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক।
তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের শারদীয় দুর্গোৎসব একটি বৃহৎ উৎসব। এই পূজাটা ৪ থেকে ৫ দিনের। এটি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বছরের একটি গুরুত্বপূর্ণ পূজা। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন পূজায় কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা না হয়। সেই লক্ষ্যে চাঁদপুর জেলা, শহর ও থানাগুলোতে বিএনপি পূজা কমিটির নেতৃবৃন্দদের সাথে সুন্দরভাবে পূজা উদযাপন করার জন্য সহযোগিতা করছে।
তিনি আরো বলেন, চাঁদপুরের কোন জায়গায় যদি পূজামন্ডপে সমস্যা হয়, তাহলে আমাদেরও কেন্দ্রের কাছে জবাবদিহিতা করতে হবে। আমরা ওয়ার্ডভিত্তিক মন্ডপগুলো কাজ করবো। স্বেচ্ছাসেবক থাকবে, তারা মন্ডপে প্রবেশ করবে না। চাঁদপুর সদর ও হাইমচরে ৪২টি মন্ডপ রয়েছে। এছাড়া উপজেলাগুলোতে কাজ করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তারপরও কোন মন্ডপে অতিরিক্ত নজরদারি করতে হলে আমাদের সাথে আপনারা সমন্বয় করবেন। তাহলে আমরা মন্ডপগুলোতে প্রয়োজনে আরো স্বেচ্ছাসেবক দিবো। পাগল ও মাদকসসেবি তাদের বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে। মন্ডপে কোন সমস্যা হলে প্রশাসনের পাশাপাশি আমাদের জানাবেন।
জেলা বিএনপির সভাপতি বলেন, আমার বাড়িতে যারা কাজ করেন তারা ঐদিন জীবন নিয়ে সরে গেছেন। কিন্তু বাড়ির অন্যান্য বাড়ি-কক্ষগুলো পেট্রোলের আগুন দিয়ে পুড়ালেও আমার এ হলরুমটি হিন্দু ভাইরা রক্ষা করেছেন। তা নাহলে আমার বাড়ির আশপাশের বাড়িগুলো সেদিন আগুনে পুড়ে যেত। সেজন্য আমি হিন্দু ভাইদের কাছে কৃতজ্ঞ। আমরা চাই না কেউ আমার মতো ক্ষতিগ্রস্ত হোক। আমরা সবাই মিলে সুন্দর একটি চাঁদপুর বিনির্মাণ করবো।
চাঁদপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তমাল কুমার ঘোষের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সলিম উল্যাহ সেলিম, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায়, জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অ্যাড. বিনয় ভূষণ মজুমদার, চাঁদপুর জেলা জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সভাপতি পরেশ মালাকার, রামকৃষ্ণ আশ্রমের সাধারণ সম্পাদক অপূর্ব মহারাজ, ইসকনের অধ্যক্ষ জগদা নন্দ প্রভু, সদর উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি বাসুদেব মজুমদার, মির্নাভা পূজামন্ডপের সভাপতি রুপালী চম্পক, সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক লক্ষ্মণ চন্দ্র সূত্রধর, পৌর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি নেপাল চন্দ্র সাহা, সাধারণ সম্পাদক সুমন সরকার জয়, হাইমচর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বিবেক লাল মজুমদার প্রমুখ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মাহাবুব আনোয়ার বাবলু, সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন খান বাবুল, দেওয়ান মো. সফিকুজ্জামান, খলিলুর রহমান গাজী, ফেরদৌস আলম বাবু, ডি এম শাহাজাহান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সেলিমুস ছালাম, অ্যাড. হারুনুর রশীদ, অ্যাড. জহির উদ্দিন বাবর, অ্যাড. জাহাঙ্গীর হোসেন খান, মো. আফজাল হোসেন, অ্যাড. মনিরা বেগম চৌধুরী, শাহজালাল মিশন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুনির চৌধুরী, আলহাজ মো. মোশাররফ হোসাইন, অ্যাড. সামছুল ইসলাম মন্টু, কোষাধ্যক্ষ কাদির বেপারী, দপ্তর সম্পাদক হযরত আলী ঢালী, প্রচার সম্পাদক শরীফ উদ্দিন পলাশ, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক আক্তার হোসেন সাগর, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. নুরুল আমিন খান আকাশ, সদস্য শনহাজাহান কবির খোকা, হাইমচর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আমিন উল্যাহ বেপারী, সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম সফিক, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ইমান হোসেন গাজী, সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন পাটওয়ারী, চাঁদপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক লিটন চন্দ্র সাহা, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কার্তিক সরকারসহ চাঁদপুর পৌর, সদর ও বিভিন্ন পূজামন্ডপের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক ও নেতৃবৃন্দ।
০৬ অক্টোবর, ২০২৪।