শাহ্ আলম খান
চট্টগ্রামসহ আশপাশের জেলা থেকে চাঁদপুর হয়ে অনেকেই লঞ্চে দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে যেতে হয়। তাদের একমাত্র ট্রানজিট হচ্ছে চাঁদপুর লঞ্চঘাট। ট্রেনে দুুপুরে কিংবা বিকেলে আসলে রাতে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা লঞ্চগুলোর জন্য অপেক্ষা করতে ৫ থেকে ৭ ঘণ্টা। তবে লঞ্চঘাটে কোন বিশ্রামাগার না থাকায় নারী, শিশু ও বৃদ্ধ অনেকেই খুবই কষ্ট ও দুর্ভোগে পড়েন। চাঁদপুরের প্রশাসন, রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গ, জনপ্রতিনিধি ও ব্যবসায়ী মহল এসব যাত্রীদের স্বল্প সময়ের কষ্ট লাগবে সদয় হবেন কি!
গত শুক্রবার বিকেলে লঞ্চঘাটের পন্টুনের পশ্চিম থেকে পূর্ব পর্যন্ত দেখা গেছে যাত্রীদের বসে থাকতে। আবার কেউ চাদরের মধ্যে বসে আছেন। পূর্ব পাশের পন্টুনে খোলা আকাশের নিচেও দেখা গেছে বেশ কয়েকজন যাত্রী। বৃষ্টি আসলে দৌঁড় দিতে হয় অন্য স্থানে।
লঞ্চঘাটের উপরে একটি টিনের যাত্রী বিশ্রামাগার থাকলেও সেটি বসার মত অবস্থান নেই। অপরিস্কার ও ময়লার কারণে যাত্রীরা সেখানে যান না। বিকেলে ওই বিশ্রামাগারে গিয়ে দেখা গেলো কয়েকটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা।
আগামি ২১ জুলাই পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদের আগের দিন রাত পর্যন্ত চট্টগ্রাম থেকে আসা যাত্রীদের ভীড় বেশি থাকবে। ঈদের পরে কঠোর লকডাউন পর্যন্ত শিশু, নারী ও বৃদ্ধসহ দক্ষিণাঞ্চলের এসব যাত্রীদের জন্য প্রশাসন, চাঁদপুর পৌরসভা, ব্যবসায়ী ও স্বেচ্ছাসেবীদের পক্ষ থেকে স্বল্পসময়ের বিশ্রামের ব্যবস্থা করা এখন সময়ের দাবি।
১৮ জুলাই, ২০২১।