চাঁদপুর লঞ্চ টার্মিনাল ঘাটের যাত্রীরা হয়রানির শিকার

সিএনজি ও অটোচালকদের দৌড়াত্ম্যে

মানিক দাস
চাঁদপুর শহরে এখন পাল্লা দিয়ে বেড়েই চলছে ব্যাটারিচালিত অটোবাইক ও সিএনজি স্কুটার। যার ফলে যাত্রীরা হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। শহরের ব্যস্ততম এলাকা মাদ্রাসা রোড চাঁদপুর লঞ্চ টার্মিনাল ঘাটটি। সকাল থেকেই নৌ-থানার সামনে পুরো মাঠটি জুড়ে সিএনজি স্কুটার ও ব্যাটারিচালিত অটো বাইকের দখলে চলে যায়।
এতে ঢাকা থেকে চাঁদপুর অভিমুখী আসা লঞ্চ যাত্রীরা লঞ্চ থেকে নেমে উপরে উঠতে পারছে না। সিএনজি স্কুটার ও অটোবাইকের চালকরা তাদের গাড়িগুলো রেখে পন্টুনের ভিতর প্রবেশ করে যাত্রীদের রায়পুর-লক্ষ্মীপুর-হাজীগঞ্জসহ বিভিন্ন রুটে নেয়ার জন্য টানা হেচড়া শুরু করে। শুধু তাই নয় যাত্রীদের সাথেও তারা রুঢ় আচরণও করে থাকে।
গতকাল বুধবার সকাল ১১টায় চাঁদপুর লঞ্চ টার্মিনাল ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা থেকে চাঁদপুরে আসা বেশ কয়েকটি লঞ্চের যাত্রীরা লঞ্চ থেকে নেমে বের হতে পারছে না। সিএনজি স্কুটার ও অটো চালকরা লঞ্চের সামনে ও গ্যাংওয়েতে দাঁড়িয়ে যাত্রীদের বিভিন্ন স্থানের নাম উল্লেখ করে চিৎকার ও চেচামেচি করছে। এতে করে সাধারণ মানুষ মারাত্মকভাবে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ছে।
কিন্তু এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ ও নৌ থানা পুলিশের তেমন কোন পদক্ষেপ চোখে পড়ে না। এরা যদি যাত্রীদের সেবা নিশ্চিত করে তাহলে সিএনজি স্কুটার ও অটো চালকদের দৌরাত্ম্য থেকে সাধারণ যাত্রীরা রেহাই পাবে।
আরো দেখা যায়, যদি কোন যাত্রী চালকদের ডাকা স্থানে যেতে চায় তাহলে দর দাম নিয়েও যাত্রীদের সাথে বাকবিতন্ডা লেগেই থাকে। এমনই দৃশ্য চোখে পড়ে একজন গৃহিনী তার দুই সন্তানকে নিয়ে লঞ্চ থেকে নেমে বাইরে এসে দাঁড়িয়েছে। তখন ২/৩ জন চালক তাদের গাড়িতে তোলার জন্য ব্যাগ লাগেজ নিয়ে টানা হেচড়া করছে। এ সময় ওই গৃহিনী চালকদের টানা হেচড়া না করার জন্য বারণ করলেও তারা তা শুনেনি। পরবর্তীতে তিনি পায়ে হেটেই এই স্থানটি ত্যাগ করেন। এদের এই দৌড়াত্ম্য থেকে যাত্রী সাধারণ পরিত্রাণ পেতে বিআইডব্লিউ কর্তৃপক্ষ ও নৌ থানা পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করছে।