চাঁদপুর সদর হাসপাতালে বিদ্যুৎ না থাকায় রোগীদের ভোগান্তি

২৩ ঘণ্টা পর বিদ্যুৎ লাইন সচল

এস এম সোহেল
চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি জেনারেল হাসপাতাল ২৩ ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন জরুরি বিভাগ, গাইনী, ২য় তলার পুরুষ, ৩য় তলার শিশু ও ৪র্থ তলার নারী রোগীরা। গত শনিবার সন্ধ্যা থেকে গতকাল রোববার সোয়া ৬টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ ছিল না বলে হাসপাতালের রোগী, দায়িত্বরত ডাক্তার ও নার্সরা জানান। এসময় বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে হাসপাতালে জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। তাতেও রোগীরা স্বস্তি পায়নি। কারণ কিছুক্ষণ পর পর বিদ্যুৎ আসা-যাওয়ার মধ্যে ছিলো।
হাসপাতালের গাইনী বিভাগের ভর্তিকৃত রোগী দোকানঘর এমদাদিয়া মাদ্রাসা এলাকার সীমা বেগম দৈনিক ইল্শেপাড়কে জানান, গত ৪ দিন যাবৎ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছি। শনিবার সন্ধ্যা থেকে হঠাৎ বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে যায়। পরে ৫ মিনিট পর-পর বিদ্যুৎ আসা-যাওয়ার মধ্যে ছিলো। এতে আমার ৪ দিনের নবজাতক শিশুর গরমে কষ্ট হয়েছে।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের নার্স জাহাঙ্গীর আলম ও দ্বিল মোহাম্মদ জানান, আমরা আজ রোববার) দুপুরে ডিউটিতে এসে দেখি বিদ্যুৎ নেই। বিদ্যুৎ না থাকায় রোগীদের সেবা দিতে বেঘাত পেতে হয়েছে। আমরা শুনেছি ট্রান্সফরমারের তার জ্বলে গেছে। তারপরও রোগীদের সেবা দেয়ার চেষ্টা করেছি।
হাসপাতালের ইলেক্ট্রেশিয়ান মো. লোকমান হোসেন জানান, ট্রান্সফরমারের তার জ্বলে গেছে। তাই ডাক্তারদের বিন্ডিংয়ের বিদ্যুৎ চলে গিয়েছিলো। হাসপাতালে জেনেরেটরে ওয়ার্ডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে। জ্বলে যাওয়া তার লাগাতে গিয়ে বিকেল ৪টায় মেইন লাইন থেকে বিদ্যুৎ বন্ধ করতে হয়েছে। তাই ২ ঘণ্টা রোগীদের একটু সমস্যা হয়েছে। ৬টার পর থেকে পুনরায় বিদ্যুৎ স্বাভাবিকভাবে দেয়া হয়েছে।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আনোয়ারুল আজিম জানান, হাসপাতালে বেশ কয়েকটি এসি স্থাপন করা হয়েছে। লোড বেশি হওয়ায় ট্রান্সফরমারের তার জ্বলে গেছে। আগামিতে টেন্ডারের মাধ্যমে বিদ্যুতের ক্ষমতা বাড়ানো হবে। তখন আর সমস্যা হবে না।