ইল্শেপাড় রিপোর্ট
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রমের আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রায় নিশ্চিত। আওয়ামী লীগের একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। দু’একদিনের ভেতরে মনোনয়নের বিষয়টি প্রকাশ করা হবে বলেও জানা গেছে।
মতলব উত্তর ও দক্ষিণ উপজেলা নিয়ে গঠিত জাতীয় সংসদের আসন চাঁদপুর-২ (জাতীয় সংসদের ২৬১নং আসন)। এ আসন থেকে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে অনেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে মন্ত্রী হলেও তেমন কাক্সিক্ষত উন্নয়ন হয়নি বলে স্থানীয়রা দাবি করলেও গত ৫ বছরে মায়া চৌধুরী সংসদ সদস্য ও ত্রাণমন্ত্রী থাকায় দু’উপজেলার প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দেন। রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, স্কুল-কলেজসহ প্রতিটি সেক্টরে তিনি নিজে এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে দেখভাল শুরু করেন। এছাড়া গত এক বছর যাবত সপ্তাহে অন্তঃত ৩/৪দিন মতলবে অবস্থান করে নানা উন্নয়নমূলক কাজের খোঁজ নেন নিজে। বিশেষ করে জনগণের স্বাস্থ্যসেবাসহ জনকল্যাণমূলক কাজগুলোর আরো কিভাবে উন্নত করা যায় সেজন্য কর্মকর্তাদের প্রতিনিয়ত দিকনির্দেশনা দেন তিনি। ফলে দু’উপজেলার উন্নয়নমূলক কাজগুলো এখন অনেকটা দৃশ্যমান। এর মধ্যে অন্যতম ‘মতলব সেতু’। যা’ প্রধানমন্ত্রীর চাঁদপুর সফরকালে উদ্বোধন করা হয়েছে।
সূত্রটি আরো দাবি করছে, চাঁদপুরের ৫টি আসনের মাঠ পর্যায়ের রাজনীতির সমীকরণে চাঁদপুর-২ আসনটি আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী নির্ণয়ে কোন বেগ পেতে হয়নি। স্থানীয় ভোটের জরিপে একমাত্র মায়া চৌধুরী এগিয়ে থাকায় নীতি-নির্ধারকরা তাঁকেই দলীয় মনোনয়ন দিচ্ছেন। মনোনয়ন প্রত্যাশী অপরাপর প্রার্থীদের তাঁর জন্য কাজ করতে বলা হয়েছে।
এদিকে চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর ও দক্ষিণ উপজেলা) সংসদীয় আসনে নির্বাচন কমিশনের হালনাগাদ ভোটার তালিকা অনুয়ায়ী মোট ভোটার ৩ লাখ ৮২ হাজার ৮শ’ ৩৯ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৯৩ হাজার ৫শ’ ১৫ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৮৯ হাজার ৩শ’ ২৮ জন। এসব ভোটারদের মাঝে এখনও আধুনিক মতলবের রুপকার হিসেবে মোফাজ্জল হোসেন মায়া চৌধুরী জনপ্রিয়তার তুঙ্গে রয়েছেন।
এ আসনের ভোটাররা দাবি করছে, গত ১০ বছরে মায়া চৌধুরী মতলবের উন্নয়নে যে ভূমিকা রেখেছেন তা’ অতীতে কোন সংসদ সদস্য করেননি। এর মধ্যে মায়া চৌধুরী ২০০৮ সালে নির্বাচন করেননি। তখন সংসদ সদস্য ছিলেন এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) রফিকুল ইসলাম। সেই সময়েও মায়া চৌধুরীর প্রত্যক্ষ মদদে মতলব উত্তর ও দক্ষিণ উপজেলায় উন্নয়ন শুরু হয়েছিলো। ফলে ভোটারদের আস্থা ও দলের সাংগঠনিক অবস্থাকে শক্তিশালী করায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আবারো মায়া চৌধুরীর উপর’ই আস্থা রাখতে যাচ্ছে।
এদিকে আওয়ামী লীগের ঐ সূত্রটি আরো নিশ্চিত করছে, হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে মায়া চৌধুরী যেমন নিজেকে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন ঠিক তেমনি সাংগঠনিক দক্ষতার পরিচয় দিতেও তিনি সফল হয়েছেন। ঢাকা মহানগীর সাবেক এই সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন মায়া চৌধুরী সাংগঠনিক দক্ষতার মাধ্যমে সু-সংগঠিত করতে সক্ষম হওয়ায় রাজধানী এখন আওয়ামী লীগের অবস্থান আগের যেকোন সময়ের তুলনায় অনেক ভাল। যার নেপথ্যে ছিলেন এই মায়া চৌধুরী।
অপরদিকে চাঁদপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী দৌঁড়-ঝাঁপ দিলেও অধিকাংশের’ই সাংগঠনিক অবস্থান তেমন নয়। কেবলমাত্র মায়া চৌধুরী মতলব উত্তর-দক্ষিণকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করেননি, তিনি প্রত্যেকটি নেতাকর্মীকে নিজ হাতে গড়ে তুলেছেন।
আর এ কারণেই এবারের একাদশ সংসদের প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের একমাত্র ভরসা মোফাজ্জল হোসেন মায়া চৌধুরী। আওয়ামী লীগ গত দশ বছরের সাংগঠনিক সফলতার উপহার হিসেবে মায়া চৌধুরীকে ফের দলীয় মনোনয়ন দিচ্ছেন। তৃণমূলের রাজনীতির বাইরে অবস্থান করে কেউ দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার যোগ্যতা রাখে না, যা আবারো প্রমাণিত হলো।
এদিকে স্থানীয় ভোটাররা দাবি করছে, চাঁদপুর জেলার একমাত্র অবহেলিত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত ছিলো মতলব উত্তর-দক্ষিণ। গ্রামীণ অবকাঠামো ছিলো না বললেই চলে। বর্তমানে গ্রামীণ অবকাঠামোর উন্নয়নে আধুনিক মতলবে রুপ নিচ্ছে এই দুইটি উপজেলা। উপজেলা দুইটিকে আমূল পরিবর্তনে মায়া চৌধুরী যে অবদান রাখছেন ভোটাররা যেমন তা ভুলছে না, যা প্রতিদানে এবারের একাদশ সংসদ নির্বাচনে দিতেও তারা প্রস্তুত বলে ভোটাররা দাবি করছে।
এছাড়া মায়া চৌধুরী ফের নির্বাচিত হলে মতলব উত্তর ও দক্ষিণে তার অসমাপ্ত কাজগুলো শেষ করলেই স্থানীয়দের ভোগান্তি লাঘব হবে ভোটাররা দাবি করছে। এখন শুধু মতলবের নদীকেন্দ্রিক পর্যটন ও শিল্পায়ন কিংবা অর্থনৈতিক জোন হিসেবে গড়ে তুলতে পারলে বিশাল কর্মসংস্থানের দ্বার উম্মোচিত হবে বলে স্থানীয়রা জানান। আর মায়া চৌধুরীর এবারের বিজয়ের মধ্যে দিয়ে তা করতে সক্ষম হবেন বলেও ভোটাররা বিশ্বাস রাখে।
- Home
- চাঁদপুর
- মতলব দক্ষিণ
- চাঁদপুর-২ আসনে মায়া চৌধুরীর মনোনয়ন প্রায় নিশ্চিত
Post navigation

