স্টাফ রিপোর্টার
চাঁদপুর শহরের আলিম পাড়ার বাসিন্দা জাকিয়া বেগম (৩৬) কে শ^াসরোধ করে হত্যার দায়ে আসামি মো. খায়ের মিয়াকে মৃত্যুদ- এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদ- দিয়েছে আদালত। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁদপুরের জেলা ও দায়রা জজ মো. জুলফিকার আলী খাঁন এই রায় দেন। হত্যার শিকার জাকিয়া বেগম আলিমপাড়া শহীদ বেপারীর স্ত্রী। মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামি খায়ের মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানার মিরপুর গ্রামের মো. জামাল মিয়ার ছেলে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর নিহত জাকিয়া বেগম কাউকে কিছু না বলে নিজ ঘর থেকে বের হয়ে চলে যায়। তাকে পরে খুঁজে না পেয়ে ২০১৬ সালের ২ জানুয়ারি জাকিয়ার ছোট বোন পাপিয়া বেগম চাঁদপুর মডেল থানায় সাধারণ ডায়রি করেন। এরপর জাকিয়ার পরিবারের লোকজন জানতে পারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর থানায় একজন নারীর মরদেহ পাওয়া গেছে। কিন্তু এর আগেই জাকিয়াকে আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে দাফন করা হয়। তারই সূত্র ধরে ওই থানায় গিয়ে যোগাযোগ করেন বোন পাপিয়া এবং দাফনের আগের জামা-কাপড় দেখে তার বোন জাকিয়াকে সনাক্ত করেন।
নবীনগর থানা পুলিশ জানায়, জাকিয়া বেগমকে শ^াসরোধ করে হত্যা শেষে বিলের মধ্যে রেখে যায়। স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে সুরাতহাল শেষে দাফন করেন। এরপর পাপিয়া বেগম অজ্ঞাতনামা আসামি করে চাঁদপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার সূত্র ধরে পুলিশ আসামি মো. খায়ের মিয়াকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন চাঁদপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া ২০১৬ সালের ৫ জুন আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।
সরকার পক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. আমান উল্যাহ জানান, মামলাটি গত প্রায় ৩ বছর চলাকালীন সময়ে ১৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। সাক্ষ্য প্রমাণ ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা করে উল্লেখিত রায় দেন। সরকার পক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটির (এপিপি) ছিলেন মোক্তার আহম্মেদ অভি।
রায়ের পর জাকিয়ার বোন পাপিয়া বেগম বলেন, আমরা রায়ে সন্তুষ্ট। আসামির কারণেই আজ আমার বোনের সন্তানরা মায়ের আদর থেকে বঞ্চিত। সে’ই আমার বোনকে মেরেছে, আদালত তার উপযুক্ত বিচার করেছে।
- Home
- প্রথম পাতা
- জাকিয়া হত্যা মামলা চাঁদপুরে যুবকের মৃত্যুদন্ড
Post navigation
