মতলব দক্ষিণ ব্যুরো
মতলব আইসিডিডিআর,বি হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এক রোগী তথ্য গোপন করে বাড়ি ফেরার পথে মারা গেছে। করোনা উপসর্গের তথ্য গোপন করে ডায়রিয়ার কথা বলে মতলবের আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্রে (আইসিডিডিআর,বি) ভর্তি হন হাজীগঞ্জের রহিমা বেগম (৬০)। পরে হাসপাতালের চিকিৎসক রোগীর লোকজনকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দিলে সেখানে না নিয়ে নিজ বাড়িতে নেয়ার পথে ওই নারীর মৃত্যু হয়।
হাসপাতাল ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, হাজীগঞ্জ পৌরসভার ১০নং ওয়ার্ড রান্ধুনিমুড়া (সাতবাড়ি) এলাকার রহিমা বেগমকে ডায়রিয়া রোগীর কথা বলে গত রোববার দুপুরে আইসিডিডিআর,বি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন সেখানকার চিকিৎসক ওই নারীর শরীরে করোনা উপসর্গ (শ্বাসকষ্ট, পাতলা পায়খানা ও জ্বর) আছে পর্যবেক্ষণ করেন। চিকিৎসক রোগীর লোকজনকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে তার চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু রোগীর পরিবার রহিমা বেগমকে সেখানে না নিয়ে তাদের বাড়ি নিয়ে যাওয়ার পথে ওই দিন সন্ধ্যায় সে মারা যায়।
হাসপাতালের চিকিৎসক চন্দ্র শেখর রায় বলেন, ডায়রিয়া আক্রান্তের কথা বলে নারীকে ভর্তি করানো হয়। পরে রোগীর অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, ডায়রিয়ার চেয়ে অন্যান্য উপসর্গ (জ্বর, শ্বাসকষ্ট) বেশি তার। তাই আমরা তাকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে আইসোলেশনে রাখার পরামর্শ দেই।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কাওছার জামিল হিমেল বলেন, হাসপাতাল ইনচার্জের সাথে আমি এ বিষয়ে কথা বলেছি। ওই সময় যারা (চিকিৎসক ও নার্স) দায়িত্বে ছিলেন তাদের ওই রোগীর রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত ডিউটি থেকে বিরত রাখা হয়েছে বলে জানান।
এসব তথ্য জানতে পেরে ঐ নারীর বাড়িতে ছুটে যান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ সার্কেল) মো. আফজাল হোসেন। তখন করোনায় আক্রান্ত মৃতদেহের মতো ওই নারীর দাফন সম্পন্ন করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ট্রাফিক ইন্সপেক্টর তালুকদার আল মামুন, হাজীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মুন্সি মোহাম্মদ মনিরসহ সংবাদকর্মীরা।
১২ মে, ২০২০।
