এস এম সোহেল
দলমত নির্বিশেষে সবার ভালোবাসায় চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন চাঁদপুর জেলা যুবদলের সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন চান্দু। তিনি গতকাল সোমবার ভোর পৌনে ৪টায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে চাঁদপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহে——রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো প্রায় ৪৮ বছর। তিনি মা, স্ত্রী, ৩ ছেলে, ভাই, বোনসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন রেখে যান।
গতকাল সোমবার বাদ আছর রহমতপুর আবাসিক এলাকা জামে মসজিদে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাজায় ইমামতি করেন ইসলামপুর গাছতলা দরবার শরীফের পীর খাজা ওয়ালী উল্লাহ। জানাযা শেষে মোফাজ্জল হোসেন চান্দুকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক খলিলুর রহমান গাজীর পরিচালনায় জানাজার আগে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ ওচমান গনি পাটওয়ারী, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা এএসএম সোহরাব হোসেন প্রমুখ। সবশেষে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির প্রবীণ নেতা আব্দুল হামিদ মাস্টার, সফিউদ্দিন আহমেদ, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাড. সলিম উল্লাহ সেলিম, মাহবুব আনোয়ার বাবলু, কাজী গোলাম মোস্তফা, দেওয়ান মো. সফিকুজ্জামান, আক্তার হোসেন মাঝি, অ্যাড. হারুনুর রশীদ, বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন খান বাবুল, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রাফিউস শাহাদাত ওয়াসিম পাটওয়ারী, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন পাটওয়ারী এসডু, অ্যাড. মজিবুর রহমান ভূঁইয়া, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. শাহজাহান মিয়া, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বেপারী, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী মাও. বিল্লাল হোসেন মিয়াজী, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. শামসুল ইসলাম মন্টু, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি শাহজালাল মিশন, সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি অ্যাড. জাহাঙ্গীর হোসেন খান, সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম জুয়েল, জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মানিকুর রহমান মানিক, সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন খান আকাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ বাহার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সোলেমান ঢালী, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ইমাম এইচ গাজী, সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল পাটওয়ারীসহ সব উপজেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, সাবেক ছাত্রনেতা চান্দু দীর্ঘদিন একাধিক রাজনৈতিক মামলায় চাঁদপুর জেলা কারাগারে ছিলেন। সেখানে অসুস্থ হলে তিনি জামিন নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। ঘটনার দিন ভোর রাতে তিনি হঠাৎ অসুস্থতা বোধ করলে পরিবারের সদস্যরা তাকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ভোর রাত ৩টা ৪৫ মিনিটে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুকালে চান্দু মা, স্ত্রী শামসুন্নাহার মুকুল, ৩ ছেলে মাহীর, রুহী ও রুমীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে যান।
উল্লেখ্য, মোফাজ্জল হোসেন চান্দু ১৯৭১ সালে চাঁদপুর রহমমতপুর আবাসিক এলাকার ঢালী বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মরহুম মালেক ঢালী চাঁদপুর সরকারি হাসান উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পরিবারের ২ ভাই ও ১ বোনের মধ্যে তিনি সবার বড় ছিলেন। ছোট ভাই তাফাজ্জল ঢালী সম্প্রতি মারা গেছেন। ছোট বোন মালেকা আক্তার মনি গৃহিণী। মা মনোয়ারা বেগম পরপর দু’সন্তানের মৃত্যুতে বাকরুদ্ধ।
রাজনৈতিক কর্মজীবনে মোফাজ্জল হোসেন চান্দু চাঁদপুর শহর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং পরবর্তীতে সভাপতি হন। পর্যায়ক্রমে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-দফতর সম্পাদক এবং মৃত্যুকালে জেলা যুবদলের সভাপতি হিসেবে দাযিত্ব পালন করেন।
- Home
- প্রথম পাতা
- দলমত নির্বিশেষে সবার ভালোবাসায় চিরনিদ্রায় শায়িত জেলা যুবদল সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন চান্দু