নতুন ভাটা স্থাপনে বাধা : হাজীগঞ্জে সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি ইট ক্রেতারা

-প্রতিকি ছবি

স্টাফ রিপোর্টার :
হাজীগঞ্জে ইটের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে অধিক মুনাফা লাভের চক্রান্তে মেতেছে একটি চক্র। একটি চক্র সিন্ডিকেট করে ইটের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে। তাদের সিন্ডিকেটের কারণে ক্রেতারা বেশি দামে ইট ক্রয় করতে বাধ্য হচ্ছে। দাম বৃদ্ধির যৌক্তিকতা তুলে ধরতে এরা প্রায়ই ইটের সংকটের অপপ্রচার করে। অবিক্রিত ইটকে বিক্রি হয়েছে বলে দাবি করে। অথচ নতুন কোনো ব্রিক ফিল্ড চালুর উদ্যোগ নিলে এই চক্রটি উঠেপড়ে লাগে তা আটকে দেয়ার জন্য। নানা অভিযোগ দিয়ে বাধা প্রদান করে।
তেমনি সম্প্রতি হাজীগঞ্জ উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামে ইট উৎপাদনের জন্য অপেক্ষমান মেসার্স আব্দুল গণি ম্যানুফ্যাকচারিং ব্রিক্স নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্রে মেতেছে ওই চক্রটি। জনবসতি ও ফসলি জমি থেকে অপেক্ষাকৃত দূরে এবং নদীর কাছে এই ব্রিক ফিল্ডটি স্থাপন করা হলেও এটির বিরুদ্ধে নামে-বেনামে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়ে হয়রানী করছে চক্রটি। এই চক্রের সাথে কতিপয় ইট ভাটার মালিক ও কিছু অসাধু মজুদদার ব্যবসায়ী জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
মেসার্স আব্দুল গণি ম্যানুফ্যাকচারিং ব্রিক্সের মালিক মহসিন পাটওয়ারী বলেন, নিয়ম-কানুন মেনে নদীর তীরে আমি ব্রিক ফিল্ড স্থাপন করেছি। এর আশপাশে কোনো বাড়ি-ঘর নেই। তেমন কোনো ফসলী জমিও নেই। জনগুরুত্বপূর্ণ কোনো সড়ক-মহাসড়কও নেই। ব্রিক ফিল্ড স্থাপনের ক্ষেত্রে সরকারের যেসব দপ্তরে আবেদন করতে হয় সব জায়গায় আবেদন করা হয়েছে। কিছু দপ্তরের অনুমোদন পাওয়া গেছে আবার কিছু দপ্তরের অনুমোদন প্রাপ্তির অপেক্ষায় আছি। আধুনিক ও উন্নত প্রযুক্তিতে এখানে ইট তৈরীর যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। অথচ একটি অসাধু সিন্ডিকেট আমার ব্রিক ফিল্ডের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ দিয়ে আমাকে হয়রানী করছে।
চাঁদপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তা (সিনিয়র কেমিস্ট) কাজী সুমন বলেন, উল্লেখিত ব্রিক ফিল্ডের বিষয়ে ইতোপূর্বে একটি তদন্ত হয়েছে। বর্তমানে নতুন করে আবারো তদন্তের নির্দেশনা এসেছে। আমরা আবারো সরেজমিন পরিদর্শন করে সরকারি নিয়ম-নীতি ও আইন-কানুন মেনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে তদন্ত রিপোর্ট প্রেরণ করবো।