নদী ভাঙন ও জলাবদ্ধতা রোধে ৭শ’ কোটি টাকার প্রকল্প নেয়া হয়েছে : –পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম

মেঘনা-ধনাগোদা বেড়িবাঁধ পরিদর্শন


মতলব উত্তর ব্যুরো
সারা বছর দেশে নদী ভাঙন ও জলাবদ্ধতা রোধে আগাম ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম। গতকাল শনিবার চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ অ্যাড. নুরুল আমিন রুহুলের আমন্ত্রণে মতলব উত্তরে মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্প ও নদী শাসন প্রকল্পের প্রস্তাবিত বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, বর্ষা ও বন্যাকে সামনে রেখে সারাদেশে ৬৫টি এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ২২টি নদী ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। যেসব এলাকায় নদী ভাঙনপ্রবণ সেসব এলাকায় কর্মকর্তার সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে।
মতলব উত্তরের ধনাগোদা সেচ প্রকল্প, নদী ও খাল ড্রেজিংসহ প্রায় ৭শ’ কোটি টাকা ডিপিপি কাজ প্রকল্পও পরিদর্শন করেন মন্ত্রী।
পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম বলেছেন, দেশের বৃৃহত্তম মেঘনা ধনাগোদা বেড়ি বাঁধ রক্ষা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃৃত্বে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। নদী শাসন করতে যা যা করা প্রয়োজন এই সরকার তা করবে। এই সরকারের উপর আস্থা রাখতে মতলববাসীর প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রী। মন্ত্রী প্রতিরক্ষা বেড়িবাঁধের করুণ অবস্থা দেখেন এবং স্থানীয় দুর্গত জনসাধারণের সাথে কথা বলেন। শীঘ্র্র্রই বেড়িবাঁধ উন্নয়নের কাজ শুরু হবে বলে আশ্বস্ত করেন।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, মতলবের মানুষের দুর্ভোগ আমি বুঝতে পেরেছি। ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধে প্রয়োজনে সেখানে জিওটেক ও পাথর দিয়ে সাময়িক কাজ করার নির্দেশ দেন। মন্ত্রী সকাল থেকে বিরতিহীনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত একাধিকস্থান পরিদর্শন করেন।
পরে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে এখলাছপুর নয়াকান্দি বেড়িবাঁধ সংলগ্ন মেঘনা নদীর পাড় ও কালীপুর পাম্প হাউজ মাঠে জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ অ্যাড. নুরুল আমিন রুহুল।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুসের পরিচালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ড. সামছুল আলম মোহন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক একেএম শামসুল করীম, চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান, চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. রফিকুল্লাহ, মতলব উত্তর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহিদুল ইসলাম, মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জাহেদ পারভেজ চৌধুরী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোতাহার হোসেন খান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহিনা আক্তার, শিল্পপতি এম ইসফাক আহসান, আওয়ামী লীগ নেতা শিল্পপতি কাজী মিজানুর রহমান, গাজী মুক্তার হোসেন, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি দেওয়ান জহির, সাধারণ সম্পাদক কাজী শরীফ, কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক জিএম ফারুক, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি অ্যাড. জসিম উদ্দিন পাটোয়ারী, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পারভেজ করীম বাবু, ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক অ্যাড. মহসিন মিয়া মানিক, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাড. জসিম উদ্দিন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাড. সেলিম মিয়া, জহিরুল ইসলাম চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।