স্টাফ রিপোর্টার
ফরিদগঞ্জের পূর্ব ধানুয়ায় মিজি বাড়িতে মাদকের প্রতিবাদ করায় সন্ত্রাসী হামলায় একই পরিবারের ২ জন গুরুতর আহত হয়েছে। এ ব্যাপারে আ. কাদির মিজির স্ত্রী হাছিনা বেগম ১৯ জানুয়ারি ফরিদগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, একই বাড়ি ও প্রতিবেশী মো. সোহাগ পাটওয়ারী (পিতা-রুহুল আমিন পাটওয়ারী), মো. রুবেল মিজি, কবির মিজি, ছাত্তার মিজি (সর্ব পিতা মৃত রুস্তম মিজি) সহ আরো কয়েকজন মাদক ব্যবসা ও সেবনের সাথে জড়িত। তারা মাদক সেবন করে বাড়িতে প্রতিদনই উচ্চ-বাচ্য করে এবং অকথ্য ভাষায় গলাবাজি করে। এসব বিষয়ে আ. কাদির মিজির স্ত্রী হাছিনা বেগম প্রতিবাদ করে। এতে রুবেল মিজিগংরা আ. কাদির মিজির পরিবারের সদস্যদেরকে প্রায়ই গালমন্দ করে। প্রতিপক্ষ রুবেল মিজিগংরা আ. কাদির মিজির পরিবারকে শত্রুর মত আচরণ করতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৯ জানয়ারি অনুমান সকাল ৭টায় উপরোক্ত মাদকসেবী ও ব্যবসায়ীরা আ. কাদির মিজির বসতঘরের সামনে অভিযোগের ১নং বিবাদী মো. সোহাগ পাটওয়ারী ও তার সঙ্গীরা বাদী হাছিনা আক্তারকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি, লাথি মেরে এবং লাঠি দিয়ে আঘাত করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা-ফুলা জখম করে। এক পর্যায়ে ১নং বিবাদী তার দুই হাত দিয়ে বাদী হাছিনা বেগমের গলা টিপিয়া শ্বাস রোধ করে হত্যার চেষ্টা চালায়। ২নং বিবাদী রুবেল মিজি বাদীর মুখে ঘুষি মারিয়া তার দাঁত নড়েবড়ে করে ফেললে রক্তক্ষরণ হয়। ১নং বিবাদী সোহাগ পাটওয়ারী ও ৩ নং বিবাদী কবির মিজি বাদীর শরীরের চুলে, কাপড়ে টানা হেচড়া করিয়া শ্লীলতাহানী করে বাদীর গলায় থাকা ১ ভরি ওজনের সোনার চেইন, যার মূল্য আনুমানিক ৪৫ হাজার টাকা ১নং বিবাদী মো. সোহাগ পাটওয়ারী ছিনিয়া নেয়। বাদীর ডাক-চিৎকারে তার স্বামী আ. কাদির মিজি আগাইয়া আসলে প্রতিপক্ষরা তাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে নীলা-ফুলা জখম করে। ২ এবং ৪ নং বিবাদী বাদীর স্বামী আ. কাদির মিজিকে গলা টিপিয়া শাস রোধ করে হত্যার চেষ্টা চালায়।
অভিযোগ থেকে আরো জানা যায়, ৪নং বিবাদী ছাত্তার মিজি বাদীর স্বামী আ. কাদির মিজির কাছে থাকা ২ হাজার টাকা জোরপূর্বক নিয়ে যায়। ২ এবং ৩ নং বিবাদী আ. মোতালেবের ছেলে ইসমাইল হোসেনের কাছে থাকা ৩০ হাজার টাকা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এসময় বিবাদীরা এই বলে হুমকি দিয়ে যায়, যদি মামলা মোকদ্দমা হয় তাহলে সবাইকে খুন করে মেরে ফেলবে। আহতদের স্থনীয়রা হাসপতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে ১নং স্বাক্ষী বাদীর স্বামী আ. কাদির মিজি চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হামপাতারে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
স্থানীয়রা জানায়, কিছুদিন আগে উল্লেখিত বিবাদীরা একই বাড়ির মুক্তিযোদ্ধা শামছল হক মিজির ছেলেদের মারধর করার ঘটনায় পুলিশের কাছে গেলে থানায় মুচলেখা দিয়ে ঐ সময় পার পেয়ে যায়।
