ইল্শেপাড় রিপোর্ট :
নদীঘেরা চাঁদপুর শহরে দখল হয়ে যাওয়া এসবি (শ্রীরামদী ও বিষ্ণুদী) খালটি পুনরুদ্ধারে কার্যকরী পদক্ষেপ না থাকায় জনমনে সংশয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। চিহ্নিত ভূমিদস্যুদের হাত থেকে খালকে বাঁচাতে জেলা প্রশাসন ও শতবর্ষী চাঁদপুর পৌরসভার নীরবতাই এখন ভাবিয়ে তুলছে শহরবাসীকে। রক্ত সঞ্চালনের মতো জল প্রবাহের খালটি দখলদারদের কবলে পড়ায় অল্প পরিমাণ বৃষ্টিতেই শহরে সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। যার কারণে শহরবাসী পরিবেশগত ঝুঁকির সম্মুখিন হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
এদিকে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসন ব্র্যান্ডিং জেলা হিসেবে চাঁদপুরকে ‘ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর’ ঘোষণা করায় সর্বমহলে প্রত্যাশা ছিলো ঢেলে সাজতে যাচ্ছে ছোট্ট এই শহরটি। যদিও প্রশাসনের বেশ কিছু উদ্যোগ ইতোমধ্যে দৃশ্যমান হচ্ছে শহরবাসীর মাঝে। তবে শহরের বুক চিড়ে বয়ে যাওয়া এসবি খালটি পুনরুদ্ধার না হওয়ায় ব্র্যান্ডিং জেলার গতিশীলতা অনেকটাই প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে সবার কাছে। এজন্য শহরবাসী জেলা প্রশাসন আর পৌরসভার সমন্বয়হীনতাকে অনেকটাই দায়ী করে আসছে।
চাঁদপুর শহরবাসী মনে করে জনবান্ধব পৌর মেয়র ও জেলা আ’লীগ সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ চাইলে’ই কেবল যে কোন মুহূর্তে পুনরুদ্ধার করা সম্ভব এসবি খালটি। তাদের দাবি মেয়রের সহযোগিতা আর পৌর নগর পরিকল্পনাবিদের আন্তরিকতা ও জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় খালটি দখলমুক্ত করা সম্ভব।
প্রকাশ্য দিন-দুপুরে দখল হয়ে যাওয়া খালটি উদ্ধারের শহরবাসীর এমন দাবি দীর্ঘদিনের হলেও সংশ্লিষ্টদের নরিবতা উদ্বেগ সৃষ্টি করে আসছে জনমনে। যদিও শহরের সচেতন মহল বলছে জেলা প্রশাসন খালটির সর্বশেষ অবস্থা সার্ভেয়ারের মাধ্যমে নির্ধারণ করে দখলদারদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে খালটি দখলমুক্ত করতে নির্দেশ প্রদান করলে আইনগত প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ এগিয়ে যেত।
পরবর্তী পর্যায়ে চাঁদপুর পৌরসভা খালটির অবস্থান চিহ্নিত করে তাদের নিয়ন্ত্রণ বুঝে নেয়ার মধ্যে দিয়ে শহরবাসীর দাবির বাস্তবায়ন আলোর মুখ দেখতো। তবে এমন আলোর মুখ কতটা দ্রুত দেখা যাবে, তার অপেক্ষায় শহরের সিকি লাখ বাসিন্দার দৃষ্টি এখন চাঁদপুর পৌরসভা আর প্রশাসনের দিকে তাকিয়ে আছে।