প্রথম শ্রেনীর চাকরিজীবী হয়েও পুলিশি হয়রানির স্বীকারঃ এহসানুর রহমান


ভোরের চোখ,ঢাকাঃ এহসানুর রহমানের পরিবারের সবার পাসপোর্ট ডেলিভারি নিয়ে আগারগাঁঁও থেকে রিকশা যোগে লালমাটিয়ার দিকে যাওয়ার পথে রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুলের ঠিক পেছনে তাজমহল রোডে ঢোকার মুখে বজ্র কন্ঠে এই রিক্সা দাঁড়াও শুনে রিকশা থামালো, তখন বিকাল ৪টা। তারপরই শুরু নাটকের। ৫ সদস্যের টহল পুলিশের দল ঘিরে ধরলো তাকে চেক করবে বলে, তিনি নিজেই পকেট থেকে বের করে দিলো সব কিছু,তাতে তারা সন্তুষ্ট নয়, তারা নিজেরাই হাত ঢুকিয়ে চেক করবে-রাজী হলো এহসান সাহেব। তার পকেটে যা ছিলো তার মধ্যে উল্লেখ্য যোগ্য হলো ৪টি পাসপোর্ট -যেগুলো বের করে দেয়ার সাথে সাথেই একজন কনষ্টেবল খপ করে তার এক হাত ধরে ফেললো। এমনভাবে যেন জঙ্গি তামিম চৌধুরীর সেকেন্ড-ইন-কমান্ড কে ধরে ফেলেছে! পরিচয় জিজ্ঞাসা করলে তিনি প্রথম শ্রেণীর সরকারী চাকরির পরিচয়ে তাদের সন্দেহ ঘনীভুত হয়। এমন সময় আরো তিনজন আনসার দলে যোগ দিয়ে শক্তি বৃদ্ধি করলো,শুরু হলো জেরা পুলিশ জিজ্ঞেস করেন আপনার কাছে এতোগুলো পাসপোর্ট কেন? এহসান সাহেব বলেন এই মাত্র ডেলিভারি নিয়ে আসলাম।পুলিশ বলেন এগুলো সহ আপনাকে থানায় নিয়ে যাচাই-বাছাই করতে হবে? তিনি বলেন কেন, এই দ্বায়িত্ব কি আপনাদের? পুলিশ বলেন এতোগুলা পাসপোর্ট নিয়া চলাফেরা করার আইন নাই। তিনি বলেন এগুলো তো আমার স্ত্রী-সন্তানদের,দেশের কোন আইনে আছে পাসপোর্ট নিয়া চলা-ফেরা করা যাবে না? ইতিমধ্যে একজন-দু’জন করে পাবলিক জড়ো হওয়া শুরু করেছে। পুলিশ বলে এরা যে আপনার পরিবার তার প্রমাণ কি? তিনি বলেন পাসপোর্ট গুলোতে স্বামী এবং বাবা হিসাবে আমার নাম আছে, এছাড়া আমার পাসপোর্ট ও এখানে আছে–আর কি প্রমাণ লাগবে? পুলিশ বলে ঠিক আছে থানায় গিয়ে এগুলো যাচাই হবে। পুনরায় পুলিশ বলেন আপনার পকেটে এতো টাকা কেন (সব মিলিয়ে ৫০০০/ মতো হবে)? এহসান সাহেব বলেন মাত্র ৫০০০/ হতে পারে নাও হতে পারে, এটা বহন করা নিষেধ নাকি? পুলিশ বলে কোথায় পাইছেন এ টাকা? তিনি বলেন আমার জরুরী একটা কাজ আছে, আপনারা আমার সময় নষ্ট করছেন এবং আমাকে বিনা কারণে হয়রানি করছেন, আমার সরকারী পরিচয়ে আপনাদের সন্তুষ্ট হওয়ার কথা। পুলিশ বলেন আপনি সরকারী অফিসারই হন আর ভিআইপি হন এগুলা দেয়া যাবে না। আচ্ছা আপনি বললেন এই মাত্র ডেলিভারি আনছেন, ডেলিভারি স্লিপ দেখান! তিনি বলেন আমি বুঝতে পারছিলাম না, পুলিশ জানেই না যে–ডেলিভারি স্লিপ জমা নিয়াই পাসপোর্ট ডেলিভারি দেয়! ইতিমধ্যেই প্রায় ৩০/৪০ মিনিট পেরিয়ে গেছে এবং উপস্থিত জনতার মধ্যে এক ধরনের অসন্তোষ দেখা দিয়েছে, পরিস্থিতির অবনতি আঁচ করতে পেরে তারা আমাকে ছেড়ে দেয়।

এহসানুর রহমান জানতে চায়:
১. আমাদের দেশে নিজের এবং পরিবারের সদস্যদের পাসপোর্ট বহন কোন আইন
দ্বারা নিষিদ্ধ কিনা?
২. ৫০০০/টাকা সাথে বহন করার জন্য পুলিশের আগাম অনুমতি লাগে কিনা?
৩. ইচ্ছে করলেই পুলিশ সাধারণ নাগরিককে নাযেহাল করার ক্ষমতা ধারণ
করে কিনা?
৪. পথে-ঘাটে পাসপোর্ট যাচাই-বাছাই করার দ্বায়িত্ব/ক্ষমতা/যোগ্যতা পুলিশের
আছে কিনা?
৫. প্রথম শ্রেণীর সরকারী চাকুরে পরিচয় পাওয়ার পরও ৩য় শ্রেণীর পদ মর্যাদা
ধারী এইসব পুলিশ এভাবে নাজেহাল করার অধিকার বহন করে কিনা?

যদি এগুলো আইন বহির্ভুত হয় তবে এহসানুর রহমান এর প্রতিবাদ জানান।