ফরিদগঞ্জের সেচ খাল খনন শুরু

ফরিদগঞ্জ ব্যুরো
চাঁদপুর সেচ প্রকল্পভুক্ত ফরিদগঞ্জ উপজেলার পৌরসভাসহ পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন অঞ্চলে খালে পানি না থাকায় বোরো আবাদ ব্যাহতের ঘটনায় দ্রুত ব্যবস্থাগ্রহণের অংশ হিসেবে খাল খনন শুরু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়নে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাড. জাহিদুল ইসলাম রোমান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বুলবুল আহমেদ, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি নুুরুন্নীব নোমান ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রবীর চক্রবর্তী।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বুলবুল আহমেদ জানান, তার ইউনিয়নসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের শত শত হেক্টর জমির সেচ পানির অভাবে অদ্যবদি বোরো আবাদ করতে পারছে না। তাই আমরা ভরাট হয়ে যাওয়া খালে পানি প্রবাহ নিশ্চিত করতে স্বেচ্ছাশ্রমে খাল খনন শুরু করেছি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তার ইউনিয়নের অন্তত ২০টি স্থানে প্রতিবন্ধকতা দূর করার সাথে সাথে খনন কাজ শুরু করেছি।
জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে বোরো আবাদের জন্য জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে সেচ প্রকল্পভুক্ত খালে পানি আসার কথা থাকলেও ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত উপজেলা পূর্বাঞ্চলের গুপ্টি পূর্ব, গূপ্টি পশ্চিম, রূপসা উত্তর, রূপসা দক্ষিণ এবং পৌর এলাকায় কয়েকটি ওয়ার্ডে শত-শত একর ফসলি জমি তৈরির পরও পানির অভাবে ধানের চারা লাগাতে পারছে না চাষীরা। এছাড়া চাঁদপুর সেচপ্রকল্পভুক্ত রামগঞ্জ উপজেলার বিস্তৃর্ণ এলাকা আবাদি জমি অনবাদি থেকে যায়। ইতোমধ্যেই ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পার হয়ে গেছে।
গত মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, কৃষি বিভাগের লোকজন, পাউবো ও বিএডিসি প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে বৈঠক হয়।
বৈঠকে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানরা খালগুলোর বর্তমান চিত্র তুলে ধরেন বলেন। দখলে ও দূষণে প্রতিটি ইউনিয়নে সেচ খালগুলো অস্তিত্ব সংকটে রয়েছে। তাছাড়া অনেক খাল রয়েছে বহু বছর খনন করা হয় না। এগুলো ইতোমধ্যেই ভরাট হয়ে যাওয়া এবং ন্যবতা না থাকায় এই দূরাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নুরে আলম জানান, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে পানি উন্নয়ন বোর্ড না ছাড়ায় এই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। এখন বোরো আবাদের জন্য এই পর্যন্ত ৬০৮টি সেচপাম্প চালু রয়েছে। ফলে খালে যে পরিমাণ পানি রয়েছে তা দিয়ে সেচপাম্পগুলো চলার কারণে পূর্বাঞ্চলে খালগুলোতে পানি যাচ্ছে না।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জানান, সেচখালে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে স্বেচ্ছাশ্রমে খাল খনন কর্মসূচি গ্রহণের জন্য জনপ্রতিনিধিদের অনুরোধ করেছি। এছাড়া আগামিতে ৪০ দিনের কর্মসূচিসহ টিআর/কাবিটার প্রকল্পকে কাজে লাগানো যেতে পারে।

১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩।