ফরিদগঞ্জে আলুর সরকারি দাম মানছে না আড়তদাররা


ফরিদগঞ্জ ব্যুরো
ফরিদগঞ্জে আলুর পাইকারী মূল্য ২৫ টাকা দরে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বিক্রির সরকারি নির্দেশনা মানছে না আড়তদাররা। রোববার (১৮ অক্টোবর) সকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে আড়তদারদের আলুর পাইকারী মূল্য ২৫ টাকা ও খুচরা পর্যায়ের বিক্রেতাদের ৩০ টাকা করে বিক্রির নিদের্শনা দিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চলে যাওয়ার পরপরই আগের দামে ৪০/৪২ টাকা দরে বিক্রি শুরু করে তারা।
জানা গেছে, আলুর পর্যাপ্ত মুজদ থাকা সত্ত্বেও আলুর লাগামহীন মূল্যের কারণে সরকার পাইকারি পর্যায়ে আলুর কেজি প্রতি মূল্য ২৫ টাকা ও খুচরা পর্যায়ে কেজি প্রতি ৩০ টাকা নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে।
ফরিদগঞ্জে সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ব্যবসায়ীদের আলুর দাম সরকার নির্ধারিত মূল্যে ক্রয়-বিক্রয় রাখার জন্য গত শুক্রবার সকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) শারমিন আক্তার আড়তদারদের নির্দেশনা দিয়ে গেলেও আড়তদার ও সাধারণ ব্যবসায়ীরা তা মানেননি।
ফলে গতকাল রোববার সকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন আক্তার পুনরায় ফরিদগঞ্জ বাজারে নামেন। তিনি আবারো সরকার নির্ধারিত মূল্যে আলু বিক্রির অনুরোধ করেন। এসময় দুইজন খুচরা ব্যবাসায়ীদের মোট ১ হাজার ৫শ’ টাকা জরিমানা করেন। এছাড়া আড়তদার মোস্তফা মিজি ও নয়ন চৌধুরী ২৫ টাকা কেজি হারে আলু বিক্রির জন্য বলেন। কিন্তু ম্যাজিস্ট্রেট ফিরে যাওয়ার পর আড়তদাররা ২৫ টাকা মূল্যে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে আলু বিক্রি করবে না বলে জানায়। ফলে খুচরা বিক্রেতারা ৩৫ টাকা কেজি দরে আলু কিনে ৪০ টাকা বিক্রি করতে দেখা গেছে।
এ ব্যাপারে কয়েকজন খুচরা ব্যবসায়ী জানান, আমরা ২৫ টাকা করে আলু কিনতে পারলে অবশ্যই ৩০ টাকা দরে বিক্রি করবো। কিন্তু তা পাচ্ছি না।
অপরদিকে আড়তদার মোস্তফা মিজি ও নয়ন চৌধুরী জানান, তাদের ৪২ টাকা করে আলু কিনতে হয়েছে। দাম কমে যাওয়ায় তারা এখন ৩৫ টাকা দরে বিক্রি করছেন।
এদিকে স্থানীয়রা জানান, গতকাল রোববার খুচরা ব্যবসায়ী হারুন ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে ৫শ’ টাকা জরিমানা দিলেও মূলত তিনি এর জন্য দায়ী নয়। আড়তদারদের কারণে তাকে জরিমানা গুণতে হয়েছে।
তারা আরো জানান, এখন আড়তদাররা লোকসান হবে বলে আলুর সরকারি মূল্যে বিক্রি করতে নারাজ। কিন্তু ইতোপূর্বে পেয়াজের মূল্য একদিনে দুই/তিনবার বাড়িয়ে ইচ্ছেমত টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। বিপুল পরিমাণ মজুদের সুযোগে তারা লাখ-লাখ টাকা বাড়তি বাণিজ্য করেছে। তাই এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য দাবি জানিয়েছেন সাধারণ জনগণ।
১৯ অক্টোবর, ২০২০।