ফরিদগঞ্জ ব্যুরো
মেহেদির রঙ শুকানোর আগেই আগুনে প্রাণ গেলো তাহামিনা আক্তার নামে এক নববধূর। ফরিদগঞ্জ উপজেলার জামালপুর গ্রামের বদরুদ আলী আমিন বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী দ্বীন ইসলামকে আটক করেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে জামালপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে দ্বীন ইসলামকে আটক করে পুলিশ। এছাড়া ঐ নববধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে প্রেরণ করেছে। অপরদিকে সংবাদ পেয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
নববধূ তাহমিনার বাবা কামাল হোসেন জানান, উপজেলার জামালপুর গ্রামের মৃত আ. লতিফের ছেলে দ্বীন ইসলামের সাথে নোয়াপাড়া গ্রামের কামাল হোসেনের মেয়ে তাহামিনা আক্তারের মাস দেড়েক আগে ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক পারিবারিক সম্মতিতে বিয়ে হয়। ২০ মে ইফতারির পূর্ব মুহূর্তে পারিবারিক বিষয় নিয়ে তাহামিনার সাথে দ্বীন ইসলামের কলহ হয়। এরই জের ধরে দ্বীন ইসলাম তাহামিনার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। তাহামিনার ডাক-চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে ও পরে ঢাকা নেয়ার পথে তাহামিনা মারা যায়। এদিকে স্থানীয় লোকজন দ্বীন ইসলামকে আটক করে রাখে। খবর পেয়ে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে দ্বীন ইসলামকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে তারা।
অথচ পরে রহস্যজনকভাবে নববধূ তাহমিনার বাবা কামাল হোসেন তার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিয়ের আগে থেকে তার মেয়ের মাঝে মাঝে মানসিক সমস্যা দেখা দিতো। সোমবার ইফতারির পূর্ব মুহূর্তে তার স্বামীর সাথে ঝগড়া করে রাগে ক্ষোভে নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে তাহামিনার ডাকচিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে ও পরে ঢাকা নেয়ার পথে তাহামিনা মারা যায়।
গৃহবধূর আত্মহননের সংবাদ পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ সার্কেল) মো. আফজাল হোসেন ও ফরিদগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রকিব ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাহমিনা আত্মহত্যা করেছে। তার স্বামী দ্বীন ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
