ফরিদগঞ্জে পরকীয়ার টানে গৃহবধূ জোসনা উধাও

স্বর্ণালংকার ও নগদ অর্থ নিয়ে

আবু তালেব সরদার
ফরিদগঞ্জের বালিথুবা পূর্ব ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সানকিসাইর কামারু বাড়ির সিএনজি চালক বিল্লালের স্ত্রী জোছনা বেগম (২৮) স্বর্ণালংকার ও নগদ অর্থ নিয়ে উধাও হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে এ প্রতিবেদক জানান, প্রতিদিনের মতো গত ৪ মার্চ জোসনা বেগম ও তার স্বামী বিল্লাল রাতে একসাথে ঘুমালেও সকালে ঘুম থেকে জেগে স্ত্রী জোসনাকে না পেয়ে বাড়ির চতুর্দিক খুঁজতে থাকেন। এক পর্যায়ে ঘরের দামি দামি জিনিসপত্র না পেয়ে বিল্লালের সন্দেহ হয়। পরে তিনি তার নগদ অর্থ না পেয়ে এবং আত্মীয়-স্বজনের কাছে মোবাইল ফোনে খোঁজ নিয়ে তার কোন সন্ধান না মিলায় তিনি নিশ্চিত হন যে, তার স্ত্রী উধাও হয়ে গেছেন। তথ্য নিয়ে জানা যায়, জোসনা পরকীয়ার টানে বাড়ি হতে উধাও হয়ে যায়। জোসনা আগেও আরো ৩ জন স্বামীর ঘর থেকে এভাবেই উধাও হয়। বিল্লাল তার ৪র্থ স্বামী।
এ ব্যাপারে তার ৪র্থ স্বামী বিল্লালের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ২ বছর আগে একই গ্রামের ছৈয়াল বাড়ির সেকান্তর ছৈয়ালের মেয়ের সাথে ইসলামী শরিয়াহ অনুযায়ী তার সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে জোসনা তার স্বামীকে বিভিন্নভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো। সে গোপনে ও প্রকাশ্যে মোবাইল ফোনে পরকীয়া করতো। এ নিয়ে তার স্বামীর সাথে প্রায়ই ঝগড়া হতো। এক পর্যায়ে জোসনা তার স্বামীকে পরকীয়া প্রেমে কেন বাঁধা দেয় সেজন্য মারধর করতো। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার গ্রাম্য সালিস হলেও জোসনা কোন কিছুই তোয়াক্কা না করে তার পরকীয়া নির্বিঘ্নে চালিয়ে যায়। এরই রেশ ধরে গত ৪ মার্চ রাতের আঁধারে স্বামী বিল্লালকে ঘুমে রেখে জোসনা উধাও হয়ে যায়।
এ ব্যাপারে বিল্লাল বাদী হয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করে। ফরিদগঞ্জ থানায় জিডি নং-২৯৬, তাং-০৭-০৩-২০২০ইং। জোসনার উধাও হওয়ার ঘটনাটি ঐ এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। এলাকার সর্বস্তরের লোকজন এ নিয়ে নানা গুঞ্জন করছে।