ফরিদগঞ্জে মিশুর খুনির ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন


ফরিদগঞ্জ ব্যুরো
ফরিদগঞ্জে গৃহবধূ জাহেদা আক্তার মিশুকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় পুলিশের হাতে আটক ঘাতক সুজন খানসহ তার সহযোগীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। গতকাল বুধবার দুপুরে উপজেলার রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের গৃদকালিন্দিয়া বাজারে অনুষ্ঠিত এই মানববন্ধনে গৃদকালিন্দিয়া হাজেরা হাসমত কলেজের কয়েকশ’ শিক্ষার্থী, বাজার ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা অংশগ্রহণ করে।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তারা বলেন, বখাটে কর্তৃক গৃহবধূকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যার ঘটনার দ্রুত বিচার শেষে রায় কার্যকর হলে অপরাধীরা নতুন করে কোন অপরাধ সংগঠিত করতে ভয় পাবে। একই সাথে সারা দেশে শিশু ও নারী নির্যাতন দমনে সহায়ক হবে। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত এই হত্যাকাণ্ডের বিচার শুরু করে রায় কার্যকরের দাবি জানান। এসময় তারা ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ হত্যাকাণ্ডের ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে ঘাতকসহ ৩ জনকে আটক করতে সমর্থ হওয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গৃদকালিন্দিয়া হাজেরা হাসমত কলেজের অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ মোহেবুল্লাহ খান, উপাধ্যক্ষ মুনীর চৌধুরী, সহকারী অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন, শরীফ হোসেন, বাজার ব্যবসায়ীদের পক্ষে কামাল হোসেন, বাবলু, শাহেদ হোসেন, মহিব, মিশুর পরিবারের পক্ষে জহিরুল ইসলাম ও ইয়াদ হোসেন।
উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই ভোরে উপজেলার রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের চরমুঘুয়া গ্রামে ঘরে ঢুকে সুজন খান গৃহবধূ জাহেদা আক্তার মিশুকে কুপিয়ে হত্যা করে। নিহত জাহেদা আক্তার মিশুর মা ছালেহা বেগম বাদী হয়ে ঘাতক সুজন খানসহ পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে ওই রাতেই ফরিদগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ঘাতক সুজনের ভাই সোয়েব খান, তার বন্ধু আমজাদ হোসেন, সোমবার রাতেই আটক করে এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করে।
পরদিন মঙ্গলবার বিকালে হত্যাকাণ্ডের ৩৬ ঘণ্টা পর রূপসা উত্তর ইউনিয়নের নারকেলতলা গ্রামের একটি বাগান থেকে ঘাতক সুজন খানকে আটক করে পুলিশ। পরে সুজন পুলিশের কাছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করে।

১ আগস্ট, ২০১৯।