ফরিদগঞ্জ ব্যুরো
ফরিদগঞ্জে দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ইভটিজিং, শ্লীলতাহানী ও নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ফয়সাল (২২), মারুফ হোসেন (১৮) ও রবিন (১৮) নামে ৩ জনকে জনতা আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। উপজেলার পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের গ্রামীণবাজার এলাকায় ঐ শিক্ষার্থী রোববার (২৭ মার্চ) সকালে মাদরাসায় যাওয়ার পথে এ ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় আরিফ হোসেন, সজিব হোসেনসহ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইভটিজিংয়ের শিকার শিক্ষার্থী রামদাসেরবাগ সিনিয়র আলিম মাদ্রাসায় ১০ দশম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। সে ঐ ইউনিয়নের গ্রামীণবাজার এলাকায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ইভটিজিংয়ের শিকার হয়। শিক্ষার্থী এর প্রতিবাদ করলে বখাটেরা প্রথমে শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানী করে। এরপর তাকে পিটিয়ে রাস্তার ওপর ফেলে দেয়। পরে শিক্ষার্থীর ডাকচিৎকারে প্রত্যক্ষদর্শীরা শিক্ষার্থীকে উদ্ধার ও বখাটেদের আটক করে।
খবর পেয়ে, সংশ্লিষ্ট মাদরাসার অধ্যক্ষ মিজানুর রহামন, ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য আতিক খানসহ কয়েকজন শিক্ষক ছুটে যান। তারা শিক্ষার্থী ও বখাটেদের মাদরাসায় নিয়ে যান এবং ফরিদগঞ্জ থানায় খবর পাঠান। কিছুক্ষণের মধ্যে এসআই রুবেল ফরাজি মাদরাসায় উপস্থিত হয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ শোনেন। এসময় অভিযুক্তরা অপরাধ স্বীকার করলে পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যান।
ভুক্তভোগী ও মাদরাসার শিক্ষার্থী জানান, এসব বখাটেদের উপযুক্ত শাস্তি, শিক্ষার পরিবেশ ও সার্বিক নিরাপত্তা চাই।
অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান বলেন, ছাত্রীকে ইভটিজিং, শ্লীলতাহানী ও নির্যাতনের অভিযোগের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে সত্যতা পেয়েছি। শুধু আজ নয়, এর আগেও এমন অভিযোগ শোনা গেছে। ছাত্রীরা নিরাপত্তার ভয়ে সাধারণত প্রকাশ্যে অভিযোগ করে না। তারা আরও বলেন, আবদুর রহিম (৩২) নামের যুবক ফরিদগঞ্জ থেকে ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্তদের ছাড়িয়ে নেয়ার চেষ্টা ও উচ্চবাচ্য করেন। তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের কাজে বাঁধা প্রদান, অসদাচরণ করেন ও হুমকি দেন।
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শহীদ হোসেন জানান, আমরা খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে তিনজনকে আটক করেছি। আইনী ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
২৮ মার্চ, ২০২২।