নারায়ন রবিদাস
ফরিদগঞ্জে তিন মাস আগে সাংবাদিক নুরুল ইসলাম ফরহাদের ছিনতাই হওয়া ল্যাপটপ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় থানা পুলিশ প্রধান অভিযুক্ত রবিনসহ ৫ জনকে আটক করেছে। 
শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ফরিদগঞ্জ থানায় প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে এই তথ্য প্রদান করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপুার (ফরিদগঞ্জ-হাজিগঞ্জ) সার্কেল সোহেল মাহমুদ।
জানা যায়, গত ৩১ মে সাংবাদিক নুরুল ইসলাম ফরহাদকে বাড়ি ফেরার পথিমধ্যে ফরিদগঞ্জ উপজেলাধীন পূর্ব বড়ালী গ্রামের কামিনী চৌকিদারের ব্রিজের উপর অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন ছিনতাইকারী তাকে মারধর করে ১টি ল্যাপটপ, ১টি মুঠোফোন এবং নগদ অর্থ ছিনিয়ে নিয়ে একটি সাদা প্রাইভেটকার যোগে পালিয়ে যায়।
ঐ রাতেই নুরুল ইসলাম ফরহাদ ফরিদগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করে। পরে ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে প্রথমে পাশ^বর্তী রামগঞ্জ উপজেলার চাঙ্গির গাও গ্রামের শেফালী বেগম ও নুসরাত জাহান ফারিসা নামে দুই নারীকে আটক করে। তাদেরকে জ্ঞিসাবাদের এক পর্যায়ে তারা পাশ^বর্তী বাড়ির হাজী শামসুন নূর পাটোয়ারীর ছেলে মো. রফিকুল ইসলাম রবিন (২৭) থেকে মোবাইলটি ক্রয় করতে ডিভাইস চেকিং করার কথা জানায়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ফরিদগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. বাহার মিয়া তাৎক্ষণিকভাবে আসামি রবিনকে গ্রেফতারের চেষ্টায় অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে জানতে পারেন রামগঞ্জ থানায় সংঘটিত একটি ডাকাতি মামলায় ইতোমধ্যে রামগঞ্জ থানা পুলিশ রবিন ও তার ৪ জন সহযোগীকে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে। পরে তিনি আদালতে এই মামলায় আসামিদের শোন এ্যারেস্ট দেখিয়ে রিমান্ডের আবেদন করেন। আদালত আসামিদের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করলে গত বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) আসামিদের রিমান্ডে এনে ব্যাপক জিজ্ঞসাবাদকালে রবিনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার চাঙ্গিরগাও এলাকা থেকে তাজল ইসলামের ছেলে ফাহিম (১৯) কে ল্যাপটপসহ আটক করে। একই সাথে ঘটনায় ব্যবহৃত সাদা রং-এর প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্রো-ন-১১-২৩৪৪)টি রায়পুর উপজেলার মধুপুর এলাকা থেকে পরিত্যাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহীদ হোসেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ফরিদগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. বাহার মিয়া, ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সম্পাদক আ. ছোবহান লিটনসহ ফরিদগঞ্জে কর্মরত সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১।
