ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে বিশেষ বর্ধিত সভা

শেখ হাসিনা উপজেলা নির্বাচনে যোগ্য ব্যক্তিকেই নৌকা প্রতীক দিয়েছেন
……………………..ড. শামছুল হক ভূঁইয়া

নৌকা স্বাধীনতা, সার্বভৌম রক্ষা ও গণতন্ত্রের প্রতীক
—————অ্যাড. জাহিদুল ইসলাম রোমান

নবী নোমান
ফরিদগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী জয় সু-নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গতকাল বুধবার এক বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া বলেন বলেন, আমি বিগত সময় চেষ্টা করেছি জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সু-সংগঠিত করে রাখার। দল বা এখানের এমপি আমি না থাকলেও এই দল বা পরিবারের কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হলে আমি আমার সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে তাকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করবো। আমার নেত্রী দলের স্বার্থে যাকে দলের নেতা বা প্রার্থী দিবে তার জন্য আমি কাজ করবো- এটাই হচ্ছে আমার নীতি-আদর্শ।
তিনি আরো বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে একজন যোগ্য প্রার্থীকেই দলের মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। জাহিদুল ইসলাম রোমানের মরহুম বাবা আমার শ্রদ্ধেয় প্রিয় নেতা অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম আওয়ামী লীগ পরিবার ও চাঁদপুর জেলাবাসীর এক নিবেদিত প্রাণ ছিলেন। তিনি এই দেশের স্বাধীনতা সংগ্রম থেকে শুরু করে সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সফল ভূমিকা রেখেছেন। তারই সু-যোগ্য সন্তান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হয়েছে। আমি এবং আমার দল এই প্রার্থীর জয়ের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করবো।
একই সভায় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী অ্যাড. জাহিদুল ইসলাম রোমান বলেন, আমি কোনদিন প্রতিহিংসার রাজনীতি করি না। আমি এদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অগ্রনায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। একই সাথে স্বাধীন বাংলাদেশের মানুষের ক্ষুদা ও দারিদ্র্যমুক্ত এবং আধুনিক বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, সাথে তারই কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নীতি, আদর্শ ও আমার মরহুম বাবার লালিত আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি। এতে কোন কৃত্রিমতা নেই।
তিনি আরো বলেন, আমার মরহুম বাবা অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম ১৯৬৪ সালে বিমান বাহিনীর লোভনীয় চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন, শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ার যে স্বপ্ন দেখেছেন তাঁর সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য একজন সৈনিক হিসেবে কাজ করার জন্য। তিনি তাঁর পুরোজীবনে স্বাধীনতার সংগ্রম থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও এই এলাকার মানুষের জন্য রাজনীতি করেছেন। সুতরাং আমি তাঁর সন্তান হিসেবে তাঁর আদর্শের প্রতি অগাধ বিশ্বাস রেখে এই এলাকার গণমানুষের উন্নয়নে কাজ করার চেষ্টা করছি।
জাহিদুল ইসলাম রোমান বলেন, আমি আওয়ামী লীগের সু-সময়ের কর্মী নয়। দলের ও নেতা-কর্মীদের দুর্দিনের কর্মী হিসেবে সব সময় কাছে থেকে কাজ করার চেষ্টা করেছি। একসাথে আমি কখনো উপজেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আসার চিন্তাও কখনো করিনি। জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে উপজেলা নির্বাচনে নৌকা প্রতীক দিয়ে আপনাদের কাছে পাঠিয়েছেন। আপনারা আমি রোমানের নির্বাচন করবেন না, শুধুমাত্র স্বাধীনতার প্রতীক নৌকা ও জননেত্রী শেখ হাসিনার সম্মানের প্রতি লক্ষ্য রেখে নির্বাচনে কাজ করবেন। মনে রাখবেন, কোন লোভ-লালসার জন্য এই নির্বাচনে আসিনি। দল আমাকে পাঠিয়েছে, আমি দলের সেই মর্যাদা দেয়ার চেষ্টা করবো।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন স্বপনের পরিচালনায় বিশেষ বর্ধিত সভায় তাদের বক্তব্যে এই কথা বলেন।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. হারুনুর রশীদ সাগর, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আবুল কাশেম, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অ্যাড. সায়েদুল ইসলাম বাবু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল হোসেন বাবুল পাটওয়ারী, সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সাহেদ সরকার, ভাইস চেয়ারম্য্যান ওয়াহিদুর রহমান রানা, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সহিদুল্ল্যাহ তপদার, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন রতন, ইউনিয়ন সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যানদের পক্ষে হারুনুর রশীদ ও শওকত বিএসসি, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম, উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা রাজিয়া, ছাত্রলীগের সভাপতি মাহবুবুর রহমান সোহাগ প্রমুখ।
এই সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সদস্য সাইফুল ইসলাম রিপন, মশিউর রহমান মিটুসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।