নারায়ন রবিদাস
ফরিদগঞ্জ উপজেলা সদরে আসা লোকজনকে দারুণ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এক কিলোমিটার সড়কের জন্য। প্রায় ৩ বছর আগে ফরিদগঞ্জ উপজেলা সদরের পশ্চিম বাজার থেকে কালির বাজার পর্যন্ত ৫.২ কিলোমিটার সড়ক সংস্কার করা হলেও পৌরসভা অংশের প্রায় এক কিলোমিটার সড়কের অবস্থা এখনো করুণ। সড়কের বাকি অংশ কিছুটা ভাল থাকলেও পৌরসভার এই এক কিলোমিটার অংশের দুরাবস্থার চিত্র চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। অপরদিকে সড়কের দু’পাশে বাড়ি-ঘর নির্মাণ ও পাকা ভবন নির্মাণ করে ছাদের পানি নিষ্কাশনের জন্য পাইপ দিয়ে অনবরত পানি রাস্তায় পড়ে এবং বিভিন্ন স্থানে পানি জমে অল্প সময়ের মধ্যে সড়কটি নষ্ট হচ্ছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, নিম্নমানের কাজ, পানি জমে থাকা এবং ক্রস ড্রেন নির্মাণ না করেই বারংবার সড়কটি সংস্কার করার কারণে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই ঐ স্থানে কার্পেটিং উঠে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়। বর্তমানে বৃষ্টি হলে সড়কটি দিয়ে হেটে চলাও দুষ্কর।
জানা গেছে, গত এক দশকে অন্তত ৩ বার ফরিদগঞ্জ উপজেলা সদরের পশ্চিম বাজার থেকে কালির বাজার পর্যন্ত সড়কটি সংস্কার কাজ করা হয়। কিন্তু ফরিদগঞ্জ পশ্চিম বাজার থেকে পৌরসভার এক কিলোমিটার পর্যন্ত সড়কটি সংস্কার কাজ শেষ হওয়ার কিছু দিনের মধ্যেই কার্পেটিং উঠে যায়।
সর্বশেষ প্রায় ৩ বছর আগে ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়কের ৫.২ কিলোমিটার অংশ সংস্কার করা হয়। কিন্তু মেরামত কাজ শেষ হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই ওই এক কিলোমিটার অংশ নষ্ট হতে শুরু করে। বর্তমানে এই এক কিলোমিটার সড়কের স্থানে-স্থানে বড়-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি হলে পায়ে হেটে সড়কটি দিয়ে চলাচল করা দুষ্কর। বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির পানি জমে গিয়ে খালে পরিণত হয়। সর্বশেষ গত ঈদ-উল-আজহার আগে পৌর কর্তৃপক্ষ গর্তগুলোতে ইট ফেলে কিছুটা যান চলাচলের উপযোগী করলেও বর্তমানে আবারো একই অবস্থায় পরিণত হয়েছে।
সামনে এক পক্ষকাল পরেই সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা শুরু হবে। এই সড়কটি দিয়ে পূজার সময়ে হাজার-হাজার নরনারী ও প্রশাসনের লোকজন চলাচল করবে। ইতোমধ্যেই উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষে উপজেলা প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে সড়কটি সংস্কারের জন্য অনুরোধ করেছেন।
লিয়াকত পাটওয়ারী, আ. রহিম, দিলিপ দাস, পরেশ দাস, লিটন দাস, সুজন দাস জানান, সড়কটি এত অল্প সময়ে খানা-খন্দে পরিণত হয় কেন, তা বোধগম্য নয়। সরকারের কোটি কোটি টাকার অপচয় হচ্ছে এ ধরনের কাজে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী ড. জিয়াউল ইসলাম মজুমদার জানান, ৩ বছর আগে ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে ফরিদগঞ্জ-কালির বাজার সড়কের ৫.২ কিলোমিটার সংস্কার কাজ হয়েছে। সড়কের দু’পাশে বাড়ি-ঘর ও পাকা ভবন নির্মাণ করে ছাদের পানি নিষ্কাশনের জন্য পাইপ দিয়ে অনবরত পানি রাস্তায় পড়ে এবং বিভিন্ন স্থানে পানি জমে অল্প সময়ের মধ্যে সড়কটি নষ্ট হচ্ছে। ইতোমধ্যেই বারংবার নষ্ট হওয়া প্রায় এক কিলোমিটার অংশ আরসিসি করে মেরামত কাজের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন ও বরাদ্দ পেলে সড়কটি ভালোভাবেই মেরামত করা হবে।
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯।