স্টাফ রিপোর্টার
বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো হিন্দু সম্প্রদায়ের ৫ দিনব্যাপী সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব দুর্গা পূজা। গতকাল মঙ্গলবার দশমীর দিনেও দেবী দুর্গার চরণে ভক্তবৃন্দ পরম শ্রদ্ধার সাথে অঞ্জলি গ্রহণ করেন। কামনা করেন সংসারের সুখ ও শান্তি।
চাঁদপুর সদর উপজেলায় এ বছর ৩২টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে চাঁদপুর পৌর এলাকায় রয়েছে ২৭টি। ৪/৫টি প্রতিমা ছাড়া সবকটি প্রতিমাই বিসর্জন দেয়া হবে পূজারীদের সুবিধামত স্থানে। তবে চাঁদপুর শহরের কালী বাড়ি পূজামণ্ডপ, গোপাল জিউর আখড়া, সন্তোষীমাতা পূজামণ্ডপ, মহাবীর রাধাকৃষ্ণ মন্দির পূজামণ্ডপ, ঘোষ পাড়া পূজামণ্ডপ, পালপাড়া পূজামণ্ডপ ও মিনার্ভা পূজামণ্ডপের প্রতিমা বিসর্জন প্রক্রিয়া শহরের প্রাণকেন্দ্র চৌধুরী ঘাট এলাকায় সম্পন্ন হয়।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শহরের কালী বাড়ি মন্দির প্রাঙ্গণ থেকে বিজয়া দশমীর দেবী দুর্গার প্রতিমূর্তি নিয়ে আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। এর নেতৃত্বে ছিলেন জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায় ও সাধারণ সম্পাদক তমাল কুমার ঘোষ।
অন্যানের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর মডেল থানর অফিসার ইনচার্জ মো. নাসিম উদ্দিন, জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সহ-সভাপতি নরেন্দ্র নারায়ন চক্রবর্তী, অজিত সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক গোপাল সাহা, সদর উপজেলা পূজা পরিষদের সভাপতি সুশীল সাহা, সাধারণ সম্পাদক লক্ষন চন্দ্র সূত্রধর, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিমল চৌধুরী, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক তমাল ভৌমিক, দপ্তর সম্পাদক রণজিৎ সাহা মুন্না, সহ-দপ্তর সম্পাদক গোপাল দাস, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কার্তিক সরকার, মহিলা সম্পাদিকা কল্পনা সরকার, সহ-প্রচার সম্পাদক নেপাল সাহা, ডা. মিলন সরকার, ডা. বিপ্লব দাসসহ আরো অনেকে।
দুর্গা প্রতিমা নিয়ে শোভাযাত্রাগুলো শহর প্রদক্ষিণ শেষে রাতে চৌধুরী ঘাট এলাকা দিয়ে ডাকাতিয়া নদীতে বিসর্জন দেয়া হয়।
০৯ অক্টোবর, ২০১৯।