মতলবে বাসা-বাড়িতে গ্যাস সংকট

Oplus_0

সফিকুল ইসলাম রিংকু
মতলব দক্ষিণে আবাসিক লাইন সংযোগে গ্যাসের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। যার ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে গ্রাহকেরা। কোনো ধরনের নোটিশ না দেওয়ায় অনেকে দিনের বেলায় রান্না করতে পারছে না। ফলে বেশিরভাগ মানুষকে হোটেল থেকেই খাবার এনে খেতে হচ্ছে।
গত একমাস যাবৎ সকাল ৮টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত চুলাতে গ্যাস থাকে না। সংবাদদাতাকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী, চাঁদপুর কার্যালয়ের ম্যানেজার মোবারক হোসেন।
গ্যাস সংকটে ভোগান্তির শিকার টিএন্ডটির গৃহিনী স্বপ্না আক্তার বলেন, গ্যাস সংকটে বিপাকে আছি। গ্যাসের চুলার বিকল্প না থাকার কারণে প্রতিদিন দু’বেলার খাবার হোটেল থেকে কিনতে হয়েছে। কবে সমস্যার সমাধান হবে সেটাও জানি না।
মধ্য কলাদি সুফিয়া মঞ্জিলের বাসিন্দা সানজিদা শারমিন রুমকি বলেন, সকালে হঠাৎ ঘুম থেকে উঠে জানলাম গ্যাস থাকবে না। পরে চুলা জ্বালিয়ে দেখি গ্যাসের সরবরাহ নেই। যে রান্না দুপুরে শেষ হতো সেই রান্না শুরু করতে হয় বিকেলে। একদিকে বিদ্যুতের আসা-যাওয়া অন্যদিকে গ্যাস বন্ধ। চরম দূরাবস্থায় আছি।
ঘোষপাড়া এলাকার বাসিন্দা গৃহিনী নুসরাত আক্তার বলেন, আগে পরে গ্যাস বন্ধ করার আগে জানতে পারতাম। এবার তাও জানতে পারিনি। যে কারণে চরম বিপাকে পড়েছি। সন্তানদের বিদ্যালয়ে যেতে হয়েছে হালকা নাস্তা খেয়ে। এরপর দুপুরের খাবার নিয়ে বিপাকে আছি।
রেস্টুরেন্টে খাবার কিনতে আসা বিলকিস আক্তার বলেন, সকাল বেলা রান্না করতে গিয়ে দেখি গ্যাস নেই। রান্না বন্ধ। পরিবারের সবার জন্য রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার নিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু এভাবে কতোদিন।
খাবার কিনতে আসা আরেক ক্রেতা সুজন আহমেদ বলেন, সকালে অফিসে এসেছি নাস্তা করতে পারিনি। কারণ বাসায় গ্যাস সরবরাহ নেই। কখন গ্যাস আসবে তাও জানি না। তাই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে অনেককে। অপেক্ষা করে উপায় না পেয়ে এখন রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার নিয়ে যাচ্ছি।
গ্যাস সরবরাহ বিড়ম্বনার বিষয়টি শুধু ঘরের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। সারাদিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলেছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। মতামতে কেউ জানিয়েছেন ক্ষোভ, আবার কেউ করেছেন সমালোচনা। আবার কেউ কেউ নিয়েছেন বিনোদন।
বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী, চাঁদপুর কার্যালয়ের ম্যানেজার মোবারক হোসেন জানান, আমাদের প্রতিদিন গ্যাস চাপ থাকার কথা ৫০০ পিবিএস, সেখানে আমরা এখন পাচ্ছি ১৫০ পিবিএস। মতলবে গ্যাস লাইনের দূরত্ব বেশি হওয়ায় সকাল থেকে ৩টা পর্যন্ত কোন গ্যাসের চাপ থাকে না। কবে নাগাদ সমস্যার সমাধান হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গ্যাস সরবরাহ কবে স্বাভাবিক হবে তা এখন বলতে পারছি না।

১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪।