মতলব দক্ষিণ ব্যুরো
মতলব দক্ষিণ উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের কাজী বাড়িতে খাদ্যে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ৪ জন গুরুতর অসুস্থ হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ৮ জুন রাত ১২টায়। এতে রওশন আরা (৫০), রুনা (২৫), জিশান (২২) ও তানজিলা (২৫) গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ঈদের আগে ওয়ালী মাস্টারের আত্মীয় ড. সামাদের স্ত্রী শরীফা ও গৃহকর্মী তানজিলা, মেয়ে রুনা ও ছেলে জিশান বেড়াতে আসে। ঘটনার দিন রাতে একই বাড়ির মমিন কাজী জুস, ড্রাইকেক ও রসমালাই নিয়ে রাতে কাজী ওয়ালী উল্লাহ মাস্টারের ঘরে আসে।
অসুস্থ রুনা ও তানজিলা জানায়, মমিন কাজী এসে আমাদের (আহতদের) জুস খাওয়ার জন্য বার-বার তাগিদ দেয়। আমরা বলি আজ খাব না, কালকে সকালে খাব। তিনি বিভিন্ন কথা বলে আমাদের জুস খেতে বাধ্য করেন। জুস খাওয়ার পর পরই আমাদের চোখে ঘুম ও মাথা ঘুরানো শুরু করে। পরে আমরা জুসের বোতলের মুখ খোলা দেখি এবং জুসের বোতলের নিচে সাদা জাতীয় পদার্থ দেখতে পাই। এ সময় আমরা এ কক্ষ থেকে বের হয়ে বাথরুমে যাওয়ার পথে চিৎকার দিয়ে পড়ে যাই। আমাদের চিৎকার শুনে মামানি মাহমুদা বেগম ও অন্যান্যরা এসে আমাদের উদ্ধার করে। তখন আমরা অচেতন হয়ে পড়ি। এদিকে মমিন কাজী বাড়ি থেকে বের হয়ে চলে যায়।
মাহমুদা বেগম জানান, তাদের চিৎকার শুনে বাইরে গিয়ে দেখি তারা মাটিতে পড়ে আছে। পরদিন সকালে তাদের অবস্থা উন্নতি না দেখে তাদের নারায়নপুর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়।
মমিন কাজী জানায়, আ. ছাত্তার কাজীর পরিবার আমার চাচাতো বোন ও ভাগিনা হয়। তাদের দেখতে আমি জুস, ড্রাইকেক ও রসমালাই নিয়ে রাতে যাই। এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, তানজিলাকে আমি চিনি না। আগে কখনও দেখি নাই।
আধুনিক হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. পারভেজ ও হাসপাতালের পরিচালক মো. মোহন জানান, তাদের বমির ভাব ও মাথা ঘুরানোর কথা বললে আমরা তাদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করি। পরে তারা বাড়ি চলে যায়।