
মনিরুল ইসলাম মনির
মতলব উত্তর ও দক্ষিণ উপজেলার একমাত্র যোগাযোগের বন্ধন ‘মতলব সেতু’। এই সেতু দিয়ে চাঁদপুরের সদর, হাজীগঞ্জ, ফরিদগঞ্জ ও শাহরাস্তি এবং লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালী জেলার মানুষ ঢাকায় যাতায়াত করেন। কিন্তু এ সুযোগে অতিরিক্ত টোল আদায় করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেকবে ইন্টারন্যাশনাল। এমন অভিযোগ জানিয়েছেন প্রাইভেট কার, পিকআপ, বাস ও সিএনজি অটোরিক্সা চালকরা।
সম্প্রতি সরেজমিনে জাহাঙ্গীর আলম নামে এক প্রাইভেট কার চালক জানান, প্রাইভেট কারে ২০ টাকা টোল ধার্য আছে। কিন্তু আমাদের কাছ থেকে প্রতিবারই ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকা আদায় করছে। এ বিষয়ে কথা বললে টোল আদায়কারীরা খারাপ আচরণ করে। নবীর হোসেন নামে এক পিক আপ চালক জানান, প্রতিনিয়তই আমাদের কাছ থেকে জোর করে দ্বিগুণ চাঁদা আদায় করে। কিছু বলতে পারি না। স্থানীয় সিএনজি চালকরা জানান, সিএনজি অটোরিক্সার জন্য ৫ টাকা ধার্য থাকলেও তাদের কাছ থেকে প্রতিবারই ১০ টাকা করে আদায় করছে। কোন কথা বললে সেতু ব্যবহার করতে না দেয়ার হুমকি-ধমকি দেয়া হয়।

জানা যায়, ট্রেইলার ১২৫ টাকা, হেভী ট্রাক ১০০ টাকা, মিডিয়াম ট্রাক ৫০ টাকা, বড় বাস ৪৫ টাকা, মিনিট্রাক ৪০ টাকা, কৃষি যান ৪০ টাকা, মিনিবাস কোস্টার ২৫ টাকা, মাইক্রোবাস/প্রাইভেটকার ২০ টাকা, ফোর হুইল যান ২০ টাকা, সিডান কার ১৫ টাকা, ৩/৪ চাকার যান ৫ টাকা ও মোটর সাইকেল ৫ টাকা করে রেট ধার্য করে দিয়েছে চাঁদপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগ। কিন্তু এ রেট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তোয়াক্কা না করেই অতিরিক্ত হারে টোল আদায় করছে। এতে করে প্রতিনিয়নই হয়রানির শিকার হচ্ছেন চালক ও যাত্রী সাধারণ।
এ ব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেকবে ইন্টারন্যাশনালের প্রোপ্রাইটর মো. কবির হোসেনের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি মুঠোফোন রিসিভ করেননি। তবে টোল আদায়কারী আরাফাত জানান, টোল আদায়ে যারা দায়িত্বে আছেন তারা সবাইই বেতনভূক্ত হিসেবে কাজ করেন। তাদের কোম্পানী যেভাবে টোল আদায়ের নির্দেশ দিয়েছে সেভাবেই তারা আদায় করছেন।
এ ব্যাপারে চাঁদপুর সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুব্রত দত্ত বলেন, বিষয়টি এই প্রথম জানলাম। খোঁজ-খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।