মিতালী-৭ লঞ্চ থেকে অজ্ঞাত নারীর মরদেহ উদ্ধার


স্টাফ রিপোর্টার
চাঁদপুর থেকে ঢাকায় যাওয়া এমভি মিতালী-৭ এর লঞ্চের কেবিন থেকে নীলুফা আক্তার (৫২) নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত সোমবার সকালে ঢাকা সদরঘাটে এমভি মিতালী-৭ লঞ্চের তৃতীয় তলার ৩০৯ নম্বর কেবিন থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার এসআই শ্রীবাস জানান, চাঁদপুর থেকে যাত্রী নিয়ে এমভি মিতালী-৭ লঞ্চটি ভোরে সদরঘাটে টার্মিনালে পৌঁছে। লঞ্চের সব যাত্রী নেমে যাওয়ার পর সকালে সাড়ে ৮টার দিকে কেবিন পরিষ্কার করতে গিয়ে তালাবদ্ধ দেখতে পান কেবিন বয়। পরে তালা ভেঙে ভেতরে ওই নারীর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
মিতালী-৭ লঞ্চের কেবিন বয় রাজু জানান, চাঁদপুর থেকে জাহাঙ্গীর নামে এক ব্যক্তি ওই কেবিন বুক করেছিল। সদরঘাট পৌঁছানোর পর অন্যান্য কেবিনের যাত্রীরা নেমে যাওয়ার সময় চাবি দিয়ে গেছে। কিন্তু ৩০৯ নম্বর কেবিন থেকে কেউ না আসায় সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তিনি কেবিন তল্লাশি করতে গিয়ে দেখেন সেটি তালাবদ্ধ। পরে তালা ভেঙে এক নারীর লাশ পাওয়া যায়।
এসআই আরো জানান, কেবিনের ভেতর ওই নারীকে বিবস্ত্র অবস্থায় পাওয়া যায়। গলায় ওড়না প্যাঁচানো ছিল। এতে ধারণা করা হচ্ছে গলায় ওড়না প্যাঁচিয়ে শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
সদরঘাট নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল করিম ভূঁইয়া জানান, খবর পেয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে তারা ঘটনাস্থলে যান। লাশের কাছে পাওয়া আইডি কার্ড থেকে নিহতের নাম নীলুফার আক্তার বলে জানা যায়। পরে আইডি কার্ডে থাকা ঠিকানায় যোগাযোগ করলে নিহতের ভাই মনির এসে বোনের লাশ শনাক্ত করেন। ধারণা করা হচ্ছে, হত্যার আগে ওই নারীকে ধর্ষণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহজামান জানান, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ ঘটনায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।