মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার ইউপি চেয়ারম্যান কাশেম খান

 

স্টাফ রিপোর্টার
চাঁদপুর সদর উপজেলার ১১নং ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ মো. কাশেম খান মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার হয়ে আসছেন। একটি চক্র দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্নভাবে হয়রানি করার পাঁয়তারা করে আসলেও তাতে ব্যর্থ হয়ে পরে। বর্তমানে টাকা আত্মসাত ও মিথ্যা নারী কেলেঙ্কারির ঘটনা সাজিয়ে জেলা প্রশাসকসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ ও আদালতে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে তাকে।
জানা যায়, ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের গ্রামপুলিশ ছিদ্দিক খা তার প্রথম স্ত্রী বিলকিস বেগমকে না জানিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করে। তার বিয়ের বিষয়টি প্রথম স্ত্রী জানতে পেরে ইব্রাহিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ মো. কাশেম খানকে জানান। চেয়ারম্যান কাশেম খান গ্রামপুলিশ ছিদ্দিক খাকে ডেকে দ্বিতীয় বিয়ের বিষয়ে চাপ প্রয়োগ করলে সে চেয়ারম্যানের সাথে অশোভন আচরণ করে চলে যায়। ছিদ্দিক খা চেয়ারম্যানের সাথে অশোভন আচরণ ও গ্রাম পুলিশের দায়িত্ব পালনে অবহেলা ও সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী কাজ না করায় গত ২৮ ডিসেম্বর চেয়ারম্যান ছিদ্দিককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেন। এতে ছিদ্দিক খা ক্ষিপ্ত হয়ে একটি মহলের সহায়তায় তার দ্বিতীয় স্ত্রী মনোয়ারা বেগমকে দিয়ে গত ৩০ ডিসেম্বর চেয়ারম্যান আলহাজ মো. কাশেম খানের বিরুদ্ধে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসকের কাছে ধর্ষণসহ আরএমপি কাজের টাকা উত্তোলনের অভিযোগ দেয় এবং অভিযোগের অনুলিপি বিভিন্ন দপ্তরে প্রদান করে। এমনকি গত ৩ জানুয়ারি চাঁদপুরের আদালতে ধর্ষণের চেষ্টার মামলা দায়ের করে। কিন্তু মনোয়ারা বেগম জেলা প্রশাসক বরাবর দেয়া অভিযোগ ও আদালতের মামলার সাথে অনেকটা মিল না থাকায় রহস্য দেখা দেয়।
এ নিয়ে এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, গ্রাম পুলিশ ছিদ্দিক খার দ্বিতীয় স্ত্রী চেয়ারম্যান আলহাজ মো. কাশেম খানের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বরাবর দেয়া অভিযোগ ও মামলার সাথে ঘটনার কোনো মিল খুঁজে পাওয়া যায় না। তাহলে বোঝা যায়, চেয়ারম্যান কাশেম খান রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। এভাবে অভিযোগ করে দু’বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও সম্মানিত ব্যক্তিকে মিথ্যা মামলা ও অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করা ঠিক হয়নি।
এমনকি মনোয়ারা বেগম চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ ও মামলা করায় তার বড় বোন হাফেজা বেগম আরএমপি কাজের শ্রমিক। তার বোনের দেয়া অভিযোগ ও মামলার ঘটনা মিথ্যা বলে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করে এবং বিভিন্ন দপ্তরে অনুলিপি দেয়।
গ্রাম পুলিশ ছিদ্দিক খার প্রথম স্ত্রী বিলকিস বেগম, তার স্বামী ও তার স্বামীর দ্বিতীয় স্ত্রী মনোয়ারা বেগমের মিথ্যা মামলা ও অভিযোগের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করে ও বিভিন্ন দপ্তরে অনুলিপি দেয়। এমনকি ছিদ্দিক খা ও মনোয়ারা বেগমসহ ৪ জনকে আসামি করে চাঁদপুরের আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা দায়ের করে।
সরজমিনে ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নে গেলে স্থানীয়রা জানান, চেয়ারম্যান আলহাজ মো. কাশেম খান একজন ভালো মানুষ। তার বিরুদ্ধে দেয়া মামলা ও অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। তিনি সব সময় গরিব ও দুঃখী মানুষের পাশে ছিলেন, এখনো আছেন। আমরা তার কোনো খারাপ রেকর্ড কখনো দেখি না। একটি মহল নিজেদের স্বার্থ হাসিল করার জন্য গ্রাম পুলিশ ছিদ্দিক ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী মনোয়ারা বেগমকে চেয়ারম্যানের পেছনে লেলিয়ে দেয়। একজন সম্মানিত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে মিথ্যা মামলা ও অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করা ঠিক হয়নি।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ মো. কাশেম খান বলেন, একটি কুচক্রী মহল আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও অভিযোগ দিয়ে আমাকে হয়রানি করছে। প্রশাসন তদন্তপূর্বক সঠিক ব্যবস্থা নেবেন। আর যারা আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করছে ও হয়রানি করে আসছে আল্লাহ্ তাদের বিচার করবেন।
৭ জানুয়ারি, ২০২১।