রুপসায় ব্যক্তি মালিকানাধীন সম্পত্তির উপর মন্দির নির্মাণ

আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে



আ. ছোবহান লিটন
ফরিদগঞ্জ উপজেলার রুপসা উত্তর ইউনিয়নের কুরী পাড়ায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ব্যক্তি মালিকানা সম্পত্তির উপর রাধা গোবিন্দ মন্দির নির্মাণ করছে একটি মহল। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন যাবত দফায়-দফায় হামলার ঘটনা ঘটে।
সরজমিনে জানা যায়, রুপসা বাজারের পাশ্বে কুড়ি বাড়ির ভিতরে রাধা গোবিন্দ মন্দির সু-সজ্জিতভাবে পূর্ব থেকেই নির্মিত আছে। মন্দিরের সামনে ব্যক্তি মালিকানা খালি জায়গা দখল করার জন্য বর্তমানে মন্দির সম্প্রসারনের নামে দখল করার পায়তারা করছে হরেন্দ্র চন্দ্র কুড়ি, বাবুল চন্দ্র কুড়িসহ মন্দির কমিটির লোকজন।
এ বিষয়ে অভিযোগকারী গৌতম চন্দ্র কুড়ি জানান, রাধা গোবিন্দ মন্দির কমিটির কিছু অসাধু চক্র আমার পৈত্রিক ও খরিদকৃত সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করে মন্দির সম্প্রসারণের কাজ করছে। যা আমি ও আমার পিতার নামে বিভিন্ন দলিল মূলে মালিক হয়ে ভোগদখলে আছি। মন্দির সম্প্রসারণের নামে রাতের আধাঁরে আমার সম্পত্তি দখল করে ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করে ঐ চক্র। আমি আদালতে অভিযোগ করলে (মামলা নং- ১২০৯/১৯ ইং) আদালত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। কিন্তু ঐ চক্র আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে আমার সম্পত্তি দখল করে কাজ চালিয়ে যায়। গত ১৩ জানুয়ারি তাদের কাজে বাঁধা দিতে গেলে তারা দলবলসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার উপর হামলা করে আমাকে ও আমার পরিবারের কয়েকজন সদস্যকে মারাত্মক আহত করে। আমি উপায়ন্ত না পেয়ে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আদালতে অভিযুক্ত ৭ জনকে বিবাদী করে মামলা দায়ের করি (মামলা নং- ৩০/২০২০ ইং)। চক্রান্তকারীরা আমাকে আহত করেও ক্ষান্ত হয়নি। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এনে মন্দিরে হামলার নাটক সাজিয়ে আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে আমি নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি। যে কোন সময় তারা আমার বড় ধরনের ক্ষতি করার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আমার পৈত্রিক ও খরিদকৃত সম্পত্তি জবরদখল মুক্ত করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য সফিকুর রহমান জানান, বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে সালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ঐ বৈঠকে গৌতম কুড়ীর আবেদন অনুযায়ী সম্পত্তির হিসাব হয়ে যার যার দখল মাপ জরিপের সিন্ধান্ত হয়। কিন্তু বাবুল কাড়ীসহ মন্দির কমিটির অন্যান্য সদস্যরা মাপ জরিপ করতে রাজি না হওয়ায় তা আর হয়নি।
অপরদিকে বাবুল কাড়ী জানান, মন্দিরের নামে ৬ শতক ভূমির দলিল আছে। সেই অনুযায়ী আমরা খালি জায়গায় কাজ করার সিন্ধান্ত নেই। কিন্তু দলিল দেখাতে অস্বীকৃতি জানান তিনি।