শাহরাস্তিতে বাল্য বিবাহের ঘটনায় এখনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি

ইউপি সদস্যসহ ৪ জনের অপরাধ স্বীকার করে লিখিত জবাব

শাহরাস্তি ব্যুরো
শাহরাস্তি উপজেলার সংহাই গ্রামের পূর্বপাড়া বাড়ির আব্দুর রহিমের মেয়ে সামিয়া আক্তার নিপু (১৫) এর বাল্য বিবাহের ঘটনায় নোটারী পাবলিকে এফিডেভিটে স্থানীয় ইউপি সদস্য সহ ৪ জন সই করার অপরাধ স্বীকার করে। লিখিত জবাব দিলেও এখনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি তাদের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, বিগত ২৫ অক্টোবর একজন মৌলভীর মাধ্যমে বাল্য বিবাহ করানো হয় তারপর নোটারী পাবলিকে এফিডেভিটে সই করেন মেয়ের বাবা আব্দুর রহিম ও মেয়ের চাচা দুলাল হোসেন এবং ছেলের নকল চাচা আব্দুর রাজ্জাকসহ সূচিপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান। অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রথমে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মাকছুদা আক্তার তদন্ত করে পাত্র ও পাত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে ইউএনও’র কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়। কিন্তু এখানে শুরু হয় নানা নাটকীয়তা। পরে তা জেলা প্রশাসনের নজরে গেলে অবশেষে জেলা প্রশাসকের কাছে প্রতিবেদনটি পাঠাতে বাধ্য হয়। তদন্ত প্রতিবেদনে সংযুক্ত থাকা নোটারী পাবলিকের এফিডেভিটে সই করা ৪ জন ব্যক্তিকে নিয়ে আলোচনা ছড়িয়ে পড়লে তাদের পুরো নাম পরিচয় প্রকাশ পায়। গণমাধ্যমে তাদের নাম উঠে আসায় উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা তাদের গত ১৯ ডিসেম্বর তার কার্যালয় আসার জন্য নোটিশ প্রদান করে। এ বিষয় উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মাকছুদা আক্তার বলেন তাদেরকে আমি নোটিশের মাধ্যমে আসার জন্য বলেছি তারা এসেছে সই করার বিষয় অপরাধ স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন বলে লিখিত জবাব দিয়েছে মেম্বারসহ ৪ জন।
উল্লেখ্য, এই একই গ্রামে প্রাথমিকভাবে জানা যায় বিগত ৬ মাসে এ ঘটনাসহ মোট ৩টি বাল্য বিবাহের সত্যতা পাওয়া যায়। যাদের মধ্য সামিয়া আক্তার নিপু ও সুমাইয়া আক্তার এবং সুমাইয়া আক্তার হাবিবার ব্যাপারে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সত্যতা পায়। যার মধ্য সামিয়া আক্তার নিপুর ঘটনায় ইউএনও’র মাধ্যমে তদন্ত প্রতিবেদন জেলা প্রশাসকের নিকট পাঠায়। অপর ২ জনের বিষয় আড়াল করে ইউএনও’র কাছে না পাঠিয়ে জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকের কাছে পাঠায়। তবে ৩টি পরিবারের বাল্য বিবাহের ঘটনায় প্রতিটির এফিডেভিট রয়েছে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কাছে। যার মধ্য সামিয়া আক্তার নিপুর ঘটনায় ইউপি সদস্যসহ ৪ জনকে ডাকলে তারা অপরাধ স্বীকার করলেও নেয়া হয়নি ব্যবস্থা। শুধু এটা নয় এফিডেভিটে সই করা বাকিগুলোর একই অবস্থা।

২১ ডিসেম্বর, ২০২৩।