নোমান হোসেন আখন্দ
শাহরাস্তির টামটা উত্তর ইউনিয়নের সুরসই কাজী বাড়িতে স্বামী হাবিবুর রহমান নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করেন দ্বিতীয় স্ত্রী রিনা আক্তার (২৫) কে। গত শুক্রবার বিকাল ৩টায় সুরসই কাজী বাড়িতে এ নির্মম হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।
শাহরাস্তি থানা পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানায়, ২ মাস আগে টামটা উত্তর ইউনিয়নের সুরসই কাজী বাড়ির হাবিবুর রহমান দ্বিতীয় বিয়ে করেন টামটা দক্ষিণ ইউনিয়নের টামটা কাজী বাড়ির বিল্লাল হোসেনের মেয়ে রিনা আক্তারকে। বিয়ের পর থেকেই দু’জনের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। রিনা আক্তার জড়িয়ে পড়েন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও টিকটকে। স্বামী হাবিবুর রহমান প্রথম স্ত্রীর দেয়া মামলায় আটক হলে গত ১৭ অক্টোবর স্ত্রী রিনা আক্তার স্বামীর বাড়ি থেকে উধাও হয়ে ঢাকা চলে যান। স্ত্রী রিনা আক্তার ১ মাস পর গত ১৭ নভেম্বর দুপুর ২টায় স্বামীর বাড়ি সুরসই কাজী বাড়িতে আসে। এসময় স্বামী হাবিবুর রহমান ও স্ত্রী রিনা আক্তার সাথে বাক-বিতন্ডা ও তুমুল ঝগড়া সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে স্বামী হাবিবুর রহমান ছুরি নিয়ে স্ত্রী রিনা আক্তারকে আঘাত করতে চাইলে সে দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করে। রিনা আক্তার পার্শ্ববর্তী বাড়ির দেবর প্রবাসী রেদোয়ান ঘরে আশ্রয় নিতে গেলে হাবিবুর রহমান দৌঁড়ে সেই ঘরে গিয়ে তাকে ধরে ফেলে, ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে।
প্রবাসী রেদোয়ান স্ত্রী নাজমা আক্তার জানায়, ২ মাস আগে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই পারিবারিক কলহ, পরকীয়া ধরা পড়ে রিনার। এসময় সে টিকটিক ও ফেসবুক নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। প্রথম স্ত্রীর মামলায় হাবিবুর রহমান আটক হলে। সে সুযোগে রিনা বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। একমাস পর বাড়ি ফেরায় দুজনের ঝগড়ার একপর্যায়ে বাসুর হাবিবুর রহমান তাকে ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপায়, ঘটনাস্থলেই রিনা মারা যায়।
এ বিষয়ে এএসপি (কচুয়া সার্কেল) রিজওয়ান সাঈদ জিকু জানান, এ বিষয়ে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে তার বাবা বিল্লাল হোসেন মামলা করেছেন। আসামিকে ধরার প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে। বিষয়টি তদন্তাধীন।
এ বিষয়ে শাহরাস্তি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন জানান, বিষয়টি অবগত হওয়ার পর আমরা ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। নিহতের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
২০ নভেম্বর, ২০২৩।