সিরাতুন্নবী (সা.) উপলক্ষে নানুপুর বায়তুল মামুর জামে মসজিদে ওয়াজ মাহফিল


স্টাফ রিপোর্টার :
সিরাতুন্নবী (সা.) উপলক্ষে চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী নানুপুর বায়তুল মামুর জামে মসজিদ কমিটির উদ্যোগে ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিল গত শনিবার বাদ মাগরিব বাগাদী-নানুপুর চৌরাস্তা মোড় চাঁদপুরজিমন টাওয়ার প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওয়াজ মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে আলোচনা পেশ করেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব, বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন ও ইসলামি চিন্তাবিদ মওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী।
প্রধান অতিথি বলেন, আল্লাহর জমিনে তার প্রতিনিধিত্ব করার জন্য আদম (আ.) থেকে শুরু করে আখেরী নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) দায়িত্ব পালন করেছেন। নবীদের আগমন শেষ হওয়ার পর যুগে যুগে আলেমরা সেই দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বাংলাদেশেও সেই দায়িত্ব পালনের ডাক দিয়েছেন হাফেজ্জী হুজুর (রহ.)। অনেকেই হাফেজ্জী হুজুর (রহ.) এর খেলাফত প্রতিষ্ঠার ডাককে বিন্ন ভাবে ব্যাখ্যা দিলেও তা রাজনৈতিক পরিভাষা। কিন্তু তিনি দেশ ও মুসলিম উম্মার শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্যই সকলকে আহবান করেছেন। মৃত্যুর আগেও তিনি সকলকে ইমাম মেহেদী (আ.) এর অগ্রসৈনিক হিসেবে খেলাফতের দায়িত্ব পালনের জন্য বলেছেন।
মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের যুগ্ম-মহাসচিব ও চাঁদপুর জেলা সভাপতি মো. রোকনুজ্জামান রোকনের সভাপতিত্বে আলোচনা পেশ করেন খেলাফত আন্দোলন নায়েবে আমীর ও বিশিষ্ট বক্তা মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী ও কেন্দ্রিয় নেতা মাওলানা আকরাম হোসাইন। প্রধান ওয়াজিন হিসেবে আলোচনা পেশ করেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রিয় মানবাধিকার ও সংখ্যালঘু সম্পাদক মাওলানা সাইফুল ইসলাম সুনামগঞ্জী।
তিনি বক্তব্যে বলেন, বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর নাম দেয়ালে লিখে আর মুখে বললে হবে না। অন্তরে রাসূল (সা.) এর মহব্বত থাকতে হবে। যারা রাসূল (সা.) এর জন্মদিনের উল্টো ব্যাখ্যা দেয়, তাদের সঠিক জ্ঞানের অভাব রয়েছে। তারা বলছেন অনেক আলেম নাকি মিলাদ ও দুরুদ পড়েন না। আল্লাহ তা’য়ালা রাসূল (সা.) এর দুরুদকে এভাবে নামাজে যুক্ত করেছেন, প্রত্যেক ওয়াক্ত নামাজেই দুরুদ পড়তে হয়। তারা এ দিনকে ঈদে মিলাদুন্নবী বলেন। কিন্তু রাসূল (সা.) এ মাসেই ইন্তেকাল করেছেন। তাহলে আমরা শোকে আনন্দ করবো নাকি জন্মতে আনন্দ করবো। রাসূলকে হারিয়ে আমরা ব্যাথিত। আমরা রাসূল (সা.) কে দেখিনি, সাহাবী হওয়ার সূভাগ্য আমাদের হয়নি। আমরাতো রাসূলের সাহাবী না হওয়ার ব্যথা নিয়ে তার পথ অনুসরণ করে জীবন পরিচালনায় ব্যস্ত থাকবো। কারণ তিনি জন্মদিনেও রোজা রেখেছেন। তাহলে কিভাবে এ দিন ঈদের দিন হয়। তিনি যুব সমাজকে ইসলামের মৌলিক জ্ঞান অর্জন করে সঠিক পথে আসার আহবান জানান। মাহফিলের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত করেন হাফেজ মাওলানা আবু তাহের।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রিয় সহকারী মহাসচিব হাফেজ মাওলানা আবু তাহের, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা হেদায়েতুল্লাহ বাশার, কেন্দ্রিয় নেতা ও ঢাকা মহানগর নায়েবে আমীর মাওলানা ফিরোজ আশরাফী, কেন্দ্রিয় নেতা ও ঢাকা মহানগর যুগ্ম সম্পাদক হাফেজ মাওলানা মাহবুবুর রহমান, নানুপুর উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি, নানুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি পুলিশের সাবেক অফিসার ইনচার্জ সেকান্দর আলী মিয়াজী, মুমিনপুর মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা হাফেজ মাওলানা মুসসিন (রহ.) এর সাহেবজাদা হাফেজ মো. হামেদ ও হাফেজ মো. জায়েদ, বাগড়া বাজার জামে মসজিদের খতিব মাওলানা সুলতান আরেফীন, বাগাদী-নানুপুর চৌরাস্তা জামে মসজিদের খতিব আলহাজ্ব মাওলানা আবু বকর ছিদ্দিক ফরহাজী, উত্তর ইচলী জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মো. ইসহাক তালুকদার, মুমিনপুর মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মাসউদ, মুমিনপুর শাহী জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা শহীদুল ইসলাম, দৈনিক চাঁদপুরজমিনের সহ-সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম অনিক, স্টাফ রিপোর্টার বাবু আলম, গাজী মো. ইমাম হাসানসহ স্থানীয় ওলামায়ে কেরাম ও ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
সিরাতুন্নবী (সা.) উপলক্ষে
নানুপুর বায়তুল মামুর জামে মসজিদে ওয়াজ মাহফিল
স্টাফ রিপোর্টার
সিরাতুন্নবী (সা.) উপলক্ষে চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী নানুপুর বায়তুল মামুর জামে মসজিদ কমিটির উদ্যোগে ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিল গত শনিবার বাদ মাগরিব বাগাদী-নানুপুর চৌরাস্তা মোড় চাঁদপুরজিমন টাওয়ার প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওয়াজ মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে আলোচনা পেশ করেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব, বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন ও ইসলামি চিন্তাবিদ মওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী।
প্রধান অতিথি বলেন, আল্লাহর জমিনে তার প্রতিনিধিত্ব করার জন্য আদম (আ.) থেকে শুরু করে আখেরী নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) দায়িত্ব পালন করেছেন। নবীদের আগমন শেষ হওয়ার পর যুগে যুগে আলেমরা সেই দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বাংলাদেশেও সেই দায়িত্ব পালনের ডাক দিয়েছেন হাফেজ্জী হুজুর (রহ.)। অনেকেই হাফেজ্জী হুজুর (রহ.) এর খেলাফত প্রতিষ্ঠার ডাককে বিন্ন ভাবে ব্যাখ্যা দিলেও তা রাজনৈতিক পরিভাষা। কিন্তু তিনি দেশ ও মুসলিম উম্মার শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্যই সকলকে আহবান করেছেন। মৃত্যুর আগেও তিনি সকলকে ইমাম মেহেদী (আ.) এর অগ্রসৈনিক হিসেবে খেলাফতের দায়িত্ব পালনের জন্য বলেছেন।
মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের যুগ্ম-মহাসচিব ও চাঁদপুর জেলা সভাপতি মো. রোকনুজ্জামান রোকনের সভাপতিত্বে আলোচনা পেশ করেন খেলাফত আন্দোলন নায়েবে আমীর ও বিশিষ্ট বক্তা মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী ও কেন্দ্রিয় নেতা মাওলানা আকরাম হোসাইন। প্রধান ওয়াজিন হিসেবে আলোচনা পেশ করেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রিয় মানবাধিকার ও সংখ্যালঘু সম্পাদক মাওলানা সাইফুল ইসলাম সুনামগঞ্জী।
তিনি বক্তব্যে বলেন, বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর নাম দেয়ালে লিখে আর মুখে বললে হবে না। অন্তরে রাসূল (সা.) এর মহব্বত থাকতে হবে। যারা রাসূল (সা.) এর জন্মদিনের উল্টো ব্যাখ্যা দেয়, তাদের সঠিক জ্ঞানের অভাব রয়েছে। তারা বলছেন অনেক আলেম নাকি মিলাদ ও দুরুদ পড়েন না। আল্লাহ তা’য়ালা রাসূল (সা.) এর দুরুদকে এভাবে নামাজে যুক্ত করেছেন, প্রত্যেক ওয়াক্ত নামাজেই দুরুদ পড়তে হয়। তারা এ দিনকে ঈদে মিলাদুন্নবী বলেন। কিন্তু রাসূল (সা.) এ মাসেই ইন্তেকাল করেছেন। তাহলে আমরা শোকে আনন্দ করবো নাকি জন্মতে আনন্দ করবো। রাসূলকে হারিয়ে আমরা ব্যাথিত। আমরা রাসূল (সা.) কে দেখিনি, সাহাবী হওয়ার সূভাগ্য আমাদের হয়নি। আমরাতো রাসূলের সাহাবী না হওয়ার ব্যথা নিয়ে তার পথ অনুসরণ করে জীবন পরিচালনায় ব্যস্ত থাকবো। কারণ তিনি জন্মদিনেও রোজা রেখেছেন। তাহলে কিভাবে এ দিন ঈদের দিন হয়। তিনি যুব সমাজকে ইসলামের মৌলিক জ্ঞান অর্জন করে সঠিক পথে আসার আহবান জানান। মাহফিলের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত করেন হাফেজ মাওলানা আবু তাহের।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রিয় সহকারী মহাসচিব হাফেজ মাওলানা আবু তাহের, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা হেদায়েতুল্লাহ বাশার, কেন্দ্রিয় নেতা ও ঢাকা মহানগর নায়েবে আমীর মাওলানা ফিরোজ আশরাফী, কেন্দ্রিয় নেতা ও ঢাকা মহানগর যুগ্ম সম্পাদক হাফেজ মাওলানা মাহবুবুর রহমান, নানুপুর উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি, নানুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি পুলিশের সাবেক অফিসার ইনচার্জ সেকান্দর আলী মিয়াজী, মুমিনপুর মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা হাফেজ মাওলানা মুসসিন (রহ.) এর সাহেবজাদা হাফেজ মো. হামেদ ও হাফেজ মো. জায়েদ, বাগড়া বাজার জামে মসজিদের খতিব মাওলানা সুলতান আরেফীন, বাগাদী-নানুপুর চৌরাস্তা জামে মসজিদের খতিব আলহাজ্ব মাওলানা আবু বকর ছিদ্দিক ফরহাজী, উত্তর ইচলী জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মো. ইসহাক তালুকদার, মুমিনপুর মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মাসউদ, মুমিনপুর শাহী জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা শহীদুল ইসলাম, দৈনিক চাঁদপুরজমিনের সহ-সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম অনিক, স্টাফ রিপোর্টার বাবু আলম, গাজী মো. ইমাম হাসানসহ স্থানীয় ওলামায়ে কেরাম ও ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।