বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সৌদি আরবের বাংলাদেশ দূতাবাস সশস্ত্রবাহিনী দিবস পালন করেছে। গত ২১ নভেম্বর রাতে রিয়াদের ডিপ্লোম্যাটিক কোয়ার্টারে অভিজাত সাকাফা প্যালেসে বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে দিবসটি পালন করা হয়।
এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সৌদি আর্মড ফোর্সের মেজর জেনারেল মোহাম্মদ নাছের আল আওফি। এছাড়া অনুষ্ঠানে রিয়াদে অবস্থিত বিভিন্ন দেশের মিশনসমূহের রাষ্ট্রদূত, ডিফেন্স এ্যাটাচে, কূটনৈতিক, কমিউনিটির বিশিষ্টজনসহ বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশীরাও যোগদান করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের জাতীয় সংগীত বাজানো হয়। সশস্ত্রবাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ তার বক্তৃতায় বলেন, ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর বাংলাদেশের সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী সম্মিলিতভাবে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণ চালায়। সেই দিন থেকেই দিবসটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে। বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনী সুশৃঙ্খল ও পেশাগতভাবে অত্যন্ত দক্ষ যারা দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য কাজ করতে সর্বদা প্রস্তুত।
রাষ্ট্রদূত বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সশস্ত্রবাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধাদের সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করতে সক্ষম হই। তিনি এসময় জাতির পিতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত সব বীর শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন।
গোলাম মসীহ বলেন, ১৯৮৮ সাল থেকে জাতিসংঘ শান্তি মিশনে বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনী অবদান রেখে আসছে। বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা পৃথিবীর নানা সংকট বহুল দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সফলতা অর্জন করেছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৌদি আরব সফরের মাধ্যমে দু’দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বৃদ্ধি পেয়েছে। রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ দিবসটি উপলক্ষে আগামি দিনগুলোতে সৌদি আরবের সাথে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ দূতাবাসের উপ-মিশন প্রধান ডক্টর মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, ডিফেন্স এ্যাটাচে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শাহ আলম চৌধুরী অনুষ্ঠানে অতিথিদের স্বাগত জানান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন, দূতাবাসের ইকোনমি মিনিস্টার ডক্টর মোহাম্মদ আবুল হাসান। এসময় দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
