সৌদি আরব ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা নেই বাংলাদেশি শ্রমিকদের


সাগর চৌধুরী
সৌদি যেতে সাময়িক নিষেধাজ্ঞার আওতায় নেই বাংলাদেশি। তবে বাংলাদেশ থেকে সরাসরি যে উড়োজাহাজ সৌদি আরবে যাতায়াত করছে সেগুলোতে ভ্রমণ করতে হবে। যেমন বিমান বাংলাদেশ বা সৌদিয়ার উড়োজাহাজে। এই দু’টি ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভায়া (ট্রানজিট) বিমানে সৌদি আরব ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ রয়েছে।
এদিকে সৌদির সর্বোচ্চ উলামা পরিষদ এক সভা শেষে জানিয়েছেন, বর্তমান করোনা মহামারির প্রেক্ষিতে করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির জুমার নামাজসহ দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জন্য মসজিদে হাজির হওয়া হারাম। স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ যাদের কোয়ারেন্টাইন করেছে তাদের তা মেনে চলা ওয়াজিব, তারা মসজিদে যেয়ে জামাতে নামাজ আদায় করতে পারবে না। যদি কেউ মসজিদে গিয়ে আক্রান্ত হওয়ার ভয় করে বা তার মাধ্যমে অপরের আক্রান্ত হওয়ার আশংকা করে তাহলে তিনি মসজিদে না গেলেও চলবে।
অপরদিকে সৌদি কর্তৃপক্ষ আগামীকাল হতে বিভিন্ন কমিউনিটি সেন্টারে যেকোনো ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন নিষিদ্ধ করেছে এবং তা শক্তভাবে তদারকি করার কথা জানিয়েছে।
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের কারণে এবার ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দেশসহ ৩৯ দেশের নাগরিকদের ওপর অস্থায়ী ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সৌদি আরব। করোনাভাইরাস সংক্রমনের লাগাম টেনে ধরতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি।
বৃহস্পতিবার সৌদির স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছে ইউরোপীয় দেশসহ ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ফিলিপাইন, সুদান, ইথিওপিয়া, দক্ষিণ সুদান, ইরিত্রিয়া, কেনিয়া, জিবুতি ও সোমালিয়া। এসব দেশের নাগরিকরা সৌদি আরবে আসতে পারবেন না। এসব দেশ হতে সৌদি নাগরিক, অভিবাসী এবং সেসব দেশের নাগরিক যাদের ভিসা ও ইকামার মেয়াদ রয়েছে তাদের আগামি ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সৌদিতে ফিরে আসার সুযোগ রয়েছে। সৌদিতে কাজ করা ভারত ও ফিলিপাইনের স্বাস্থ্যকর্মীরা এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে বলে জানানো হয়।
অন্যদিকে জর্ডানের সাথে সৌদির সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এর আগে গত ৯ মার্চ ওমান, ফ্রান্স, জার্মানি, তুর্কি, স্পেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, বাহরাইন, লেবানন, সিরিয়া, ইরাক, মিশর, ইতালি ও দক্ষিণ কোরিয়ার ওপর অস্থায়ী ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল সৌদি আরব। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে সৌদির সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সৌদি শিক্ষা মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠদানের প্রক্রিয়া শুরু করতে পরামর্শ দিয়েছে। যাতে করে ঘরে বসে শিক্ষার্থীরা দৈনন্দিন শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে।
করোনাভাইরাসের ঝুঁকি এড়াতে বড় বড় কোম্পানিগুলোও অফিসে না গিয়ে ঘরে বসে ডিজিটাল পদ্ধতিতে অফিসিয়াল কাজকর্ম পরিচালনা করার চিন্তা করছে। ইতোমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে কিছু কোম্পানি এই পদ্ধতি শুরু করেছে।
উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে সব ধরনের সিনেমা হলঃ প্রদর্শনী ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। নিজের ও অন্যের স্বাস্থ্যের প্রতি সচেতন থাকা, যথাসাধ্য জনসমাগম এড়িয়ে চলা, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থেকে নিজ নিজ সীমানায় অবস্থান করা, করমর্দন ও আলিঙ্গন পরিহার করারও পরামর্শ রয়েছে।