হাইমচরে জুলহাস সরকারের পক্ষে গণসংযোগ

ইউনিয়নবাসী সব ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার উপেক্ষা করে নৌকাকে বিজয়ী করবে

হাইমচর ব্যুরো
হাইমচর পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী মো. জুলফিকার আলী জুলহাস সরকারের পক্ষে গণসংযোগ শেষে মতবিনিময়কালে বক্তারা বলেন, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপির উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় সব ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে ইনশাআল্লাহ ২৬ ডিসেম্বর হাইমচর ইউনিয়নবাসী নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করবে।
রোববার (২৮ নভেম্বর) হাইমচর ইউনিয়নের সাহেবগঞ্জ বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ শেষে সাহেবগঞ্জ বাজারে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে মতবিনিময়কালে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা দুদু মিয়া সিপাই বলেন, জুলহাস সরকারের পরিবারকে জড়িয়ে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা সন্তোষ কুমার মজুমদার জানিয়েছেন, এসব মিথ্যা ও বানোয়াট। ভিত্তিহীন অভিযোগ ফেসবুকে দেওয়ায় ঐ সংবাদের ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না।
হাইমচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওছমান প্রধানীয়া বলেন, একটা কুচক্রীমহল নৌকার বিরোধিতা করে এ মিথ্যা অভিযোগ রচনা করেছেন।
তিনি আরো বলেন, মো. জুলফিকার আলী সরকার দীর্ঘ ৮ বৎসর যাবৎ পরপর দুই মেয়াদে হাইমচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সফল সভাপতি। গত টার্মে তিনি নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। এই ত্যাগী ব্যক্তি যখন এবার মনোনয়ন লাভ করেন তখন তিনি রাজাকারের সন্তান বলে মিথ্যা ও বানোয়াট অপপ্রচার- আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে না।
প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা, হাইমচর উপজেলা ছাত্রলীগ সাবেক সভাপতি, থানা যুবলীগ সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম-সম্পাদক মহসিন উদ্দিন কাজল ছৈয়াল বলেন, হাইমচর ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী বিজয়ী করার জন্য বৃহত্তর আওয়ামী পরিবার এক ও অভিন্ন হয়ে কাজ করছি। একটা কুচক্রী মহল নৌকার বিরোধিতা করে অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। ইনশাআল্লাহ সব ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার উপেক্ষা করে ২৬ ডিসেম্বর হাইমচর ইউনিয়নবাসী নৌকার বিজয় নিশ্চিত করে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপির হাত শক্তিশালী করবে।
মতবিনিময়কালে জুলফিকার আলী জুলহাস সরকার বলেন, আমার বাবা জলিল সরকার এই ইউনিয়নে ১০ বছর, দাদা খান সাহেব ইয়াকুব আলী সরকার ৪০ বছর, আমার আপন ভাই মিন্টু সরকার ৫ বছর, আমার চাচাতো ভাই উপজেলা আওয়ামী লীগ সাবেক সভাপতি বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা আলহাজ কায়কোবাদ চুন্নু সরকার ৩ বার ইউপি চেয়ারম্যান ও ২ বার উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। আমার পরিবার দীর্ঘ ৭৭ বছর হাইমচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন করেন।
আমার বাবা তৎকালীন চেয়ারম্যান জলিল সরকার মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে হাইমচরে তার নিজ বাড়িতে পরিবারের সাথে অবস্থান করে স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করেন। বার্ধক্যজনিত কারণে আমার বাবা ১৯৭৯ সালে বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন।
আমাদের ঐতিহ্যবাহী সরকার পরিবার সদস্য। আমার চাচা সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ সরকার ও ফজলুল হক সরকারের নেতৃত্বে স্বাধীনতার পক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করা এবং যুদ্ধে অংশ নেয়ায় পাকবাহিনী আমাদের পরিবারের বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে, যা ইতিহাস হয়ে আছে।
আরো বক্তব্য রাখেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি গিয়াস উদ্দিন পেদা, ইউনিয়ন যুবলীগ যুগ্ম-আহ্বায়ক বাবুল মৃধা, ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা আল আমিন সরদার প্রমুখ।

২৯ নভেম্বর, ২০২১।