হাজীগঞ্জে অন্য মালামাল ক্রয় না করলে সয়াবিন তেল বিক্রি হয় না

মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্
হাজীগঞ্জে বাজার তদারকি অভিযান পরিচালনা করেছে উপজেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) দুপুরে হাজীগঞ্জ বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিফাত জাহান। এসময় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে স্বপ্নে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জানা গেছে, এদিন স্বপ্ন ও বিশাল শপিং সেন্টারসহ হাজীগঞ্জ মধ্য বাজারস্থ বেশ কয়েকটি মুদি দোকানে বাজার তদারকি অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিফাত জাহান। অভিযানে স্বপ্নের আউটলেটে সয়াবিন তেল ডিসপ্লে না করে গোডাউনে মজুদ রাখার অপরাধে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
এসময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে একাধিক ক্রেতা ৫ লিটার করে সয়াবিন তেল কিনে নেন। একই সময়ে বিশাল শপিং সেন্টারসহ বেশ কয়েকটি মুদি দোকানে সয়াবিন তেল ডিসপ্লে দেখে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং নির্ধারিত মূল্যে তেল বিক্রি ও দৃশ্যমান স্থানে পন্যের মূল্য তালিকা সাঁটানোর নির্দেশনা দেন।
অভিযানে সয়াবিন তেলের ডিলারদের (পরিবেশক) বিরুদ্ধে অভিযোগ করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিফাত জাহানের কাছে ব্যবসায়ীরা বলেন, ডিলারদের কাছ থেকে সয়াবিন তেল কিনতে হলে অন্য মুদি মালামাল বাধ্যতামূলক কিনে নিতে হয়। তা, নাহলে ডিলাররা সয়াবিন তেল পাইকারি বিক্রি করেন না।
এদিকে খুচরা বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেন ভোক্তারা। বেশ কয়েকজন ভোক্তা জানান, সয়াবিন তেলের সাথে অন্য মালামাল না কিনলে দোকানদাররা (খুচরা বিক্রেতা) তেল বিক্রি করেন না।
এ বিষয়ে খুচরা বিক্রেতাদের সাথে কথা হলে অনেকে অভিযোগ অস্বীকার করেন। আবার অনেকে বলেন, যেভাবে কেনা, সেভাবেই বেচা (বিক্রি)। অর্থাৎ খুচরা ক্রেতাদেরও তেলের সাথে অন্য মালামাল ডিলারদের কাছ থেকে কিনতে হয়। যার কারণে, খুচরা ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের কাছে শুধুমাত্র সয়াবিন তেল বিক্রি করেন না।

০৫ মার্চ, ২০২৫।