
মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্
হাজীগঞ্জে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে ৩ দিনব্যাপী উন্নয়ন মেলা শেষ হয়েছে। গতকাল শনিবার উপজেলা পরিষদ চত্বরে আয়োজিত মেলার সমাপনী দিনে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ অধ্যাপক আব্দুর রশিদ মজুমদার।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বৈশাখী বড়–য়ার সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসলে দেশের কাক্সিক্ষত উন্নয়ন হয়। এই উন্নয়ন বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্বারাই সম্ভব। বিগত সময়ে যারা ক্ষমতায় ছিল তারা এদেশের কি উন্নয়ন করেছে, আর আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কি উন্নয়ন হয়েছে- তা আপনারা দেখেছেন।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ ও সাহসি নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। আমরা মধ্যম আয়ের দেশে দ্বারপ্রান্তে এবং ৪১ সালের মধ্যেই উন্নত বাংলাদেশ উন্নীত হবো। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হলে আওয়ামী লীগকে আবারো ক্ষমতায় আনতে হবে।
উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার রঞ্জন চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী, থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জাবেদুল ইসলাম।
বক্তব্য শেষে উন্নয়ন মেলায় যৌথভাবে প্রথম স্থান অর্জনকারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ, যৌথভাবে দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারী চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় এবং তৃতীয় স্থান অর্জনকারী উপজেলা যুব উন্নয়ন কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ অধ্যাপক আব্দুর রশিদ মজুমদার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বৈশাখী বড়–য়া।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আনোয়ারুল আজিম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নয়নমনি সূত্রধর, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জুলফিকার আলী, নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আবুল কাসেম, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. গোলাম মোস্তফা, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহ আলী রেজা আশ্রাফী, প্রকৌশলী মো. ফুয়াদ আহসান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বুলবুল, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা দিলরুবা খানম, বন কর্মকর্তা মো. তাজুল ইসলাম, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন, চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর এজিএম (প্রশাসন) মো. জহরুল ইসলাম, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মমিনুল হক বকাউল, সমবায় কর্মকর্তা আলো রানী সরকার, মৎস্য কর্মকর্তা মাহমুদ মোস্তফা, সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মিজানুর রহমান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, মেলায় ৩৩টি স্টলে ২৭টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে। ১১-১৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত তিন দিনব্যাপী আয়োজিত মেলায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সর্বস্তরের জনসাধারণ উন্নয়ন মেলা পরিদর্শন করে। মেলায় সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন তুলে ধরাসহ দর্শনার্থীদের উপস্থিত সেবা প্রদান করা হয়। ব্যতিক্রম ছিলো যুব উন্নয়ন কার্যালয়ের স্টল। এখানে ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকৃতরা নানা ধরনের পিঠা তৈরি করে দর্শনার্থীদের মাঝে গরম গরম পরিবেশন করেন।