হাজীগঞ্জে প্রতিবন্ধী নুরু হত্যায় আটকরা জেলহাজতে


মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্
হাজীগঞ্জে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী নুরুল ইসলাম নুরু (২৫) হত্যা মামলার প্রধান আসামি তরুণ লীগ নেতা কাউছার হামিদ মিয়াজী ও অপর আসামি আলাউদ্দিনকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে আদালত। গতকাল বুধবার হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ তাদের আদালতে প্রেরণ করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠায়।
বুধবার কাউছার হামিদ মিয়াজী ও আলাউদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে বলে জানা যায়। ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের জন্য আটকদের রিমান্ডে আনা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর হোসেন রনি।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে উপজেলার বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের এন্নাতলী গ্রামের বিল (মাঠ) থেকে নুরুল ইসলাম নুরুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত নুরুল ইসলাম নুরুর মা হোসনে আরা বেগম বাদী হয়ে একই দিন থানায় ৫ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা (নং-৪৩) দায়ের করেন। নুরু উপজেলার বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের এন্নাতলি গ্রামের পাটওয়ারী বাড়ির দৃষ্টি প্রতিবন্ধী আবুল বাসার পাটওয়ারীর ছোট ছেলে।
এ বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর হোসেন রনি জানান, নিহত নুরুল ইসলাম নুরুর পরিবার বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আমরা আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থাগ্রহণ করেছি। তিনি বলেন, মামলার অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
নিহতের বাবা আবুল বাসার জানান, আমিসহ আমার দুই ছেলে ও এক মেয়ে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ডের জন্য আমি ও আমার ছেলেসহ এলাকার অনেকে তরুণ লীগ নেতা কাউছারকে টাকা দিয়েছি। কিন্তু গত এক বছরে ভাতার কার্ড পাইনি। এ বিষয়ে আমার ছেলে প্রতিবাদ করেছে। যার কারণে তাকে হত্যার হুমকি দিয়েছে কাউছার।
তিনি বলেন, গত সোমবার রাতেও নুরুকে হুমকি-ধমকি দেয় কাউছার ও তার সাঙ্গ-পাঙ্গরা। এরপর থেকে তার খোঁজ পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার সকালে বাড়ির পাশে বিলে নুরুল লাশ পাওয়া যায়।